রোহিঙ্গা যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা উপকূলে নোঙ্গর ফেলার আগেই তাড়িয়ে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী। শুক্রবার ভোরের দিকে দেশটির আচেহ প্রদেশের ওয়েহ দ্বীপে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র নুগ্রাহ গুমিলার।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর ঐ মুখপাত্র জানান, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বহন করে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে যাওয়া একটি নৌকাকে ভিড়তে দেয়নি দেশটির নৌবাহিনী। গৃহযুদ্ধ ও সংকট জর্জরিত মিয়ানমার থেকে নৌকাযোগে পালিয়ে বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধিতা ও শত্রুতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র নুগ্রাহা গুমিলার আরো জানান, ওয়েহ দ্বীপের কাছে সাগরে কাঠের নৌকাটিকে আটকানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নৌকাটির গতিরোধ করে সেটিকে দেশটির জলসীমা ছাড়তে বাধ্য করে, পরে ‘সেটি আর ফিরে আসেনি’।
জানা গেছে, নৌকাটি মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকাটিতে কতজন রোহিঙ্গা ছিল তা জানা যায়নি। কয়েক মাস ধরেই অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছতে শুরু করেছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনসিএইচআর) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেড় হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা নৌকাযোগে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে হাজির হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকার আগমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছে।