ভারতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমালোচনা করেছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের খামখেয়ালিপনার কারনেই দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতকে হারতে হয়েছে বলে মনে করেন গাভাস্কার।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ফাইনালে উঠলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হার মানে ভারত। দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে শিরোপা হাতছাড়া করে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মত ফাইনাল হারে ভারত।
এ বছরের আইপিএল শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। যা ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জই ছিলো। দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ভারতের হারের কারণ হিসেবে সম্প্রতি প্রস্তুতির ঘাটতিকে তুলে ধরেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
রোহিত জানান, টেস্ট ক্রিকেটে অনেক বেশি শৃঙ্খলা প্রয়োজন এবং একটি ম্যাচের জন্য ২০-২৫ দিনের প্রস্তুতি আদর্শ। রোহিতের এমন মন্তব্যে চটেছেন গাভাস্কার। তার মতে, প্রস্তুতির জন্য ম্যাচের একটু আগেভাগে ভ্রমন করে না দলের সিনিয়ররা। কারণ তারা জানে দলের তাদের জায়গা পাকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে গাভাস্কার বলেন, ‘আমরা কি ধরনের প্রস্তুতির কথা বলছি? এখন তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছে। আপনার সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উদাহরণ আছে। আপনি কি কোন ম্যাচ খেলেছেন? তাহলে এই ২০-২৫ দিনের কথা কিসের?’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর এক মাস দীর্ঘ বিরতি শেষে সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ১৪১ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ভারত।
গাভাস্কার বলেন, ‘বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন দল, তাতে টেস্ট ম্যাচের একদিন আগে গেলেই তাদের হারানো যায়। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে কথা বললে আপনাকে আসল কথাটাই বলতে হবে। ১৫ দিন আগে গিয়ে দু’টি প্রস্তুতি খেলতে হবে। দলের মূল খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নিতে পারে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা দল হয়েও কিভাবে প্রায়ই ভারতের খেলোয়াড়রা ইনজুরির শিকার হন সেটিও জানিয়েছেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সত্যিটা হচ্ছে- দলের মূল খেলোয়াড়রা তাড়াতাড়ি যেতে চায় না। কারণ তারা জানে যাই হোক না কেন, দলে তাদের জায়গা পাকা। আগেভাগে গেলে তারা কাজের চাপ নিয়ে কথা বলবে। আপনি নিজেকে বিশ্বের যোগ্যতম দল বলুন বা আগের প্রজন্মের চেয়ে সেরা বলুন, তাহলে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে ভেঙে পড়লেন? ২০ ওভারের ম্যাচ খেললে তখন কিভাবে আপনার কাজের চাপের সমস্যা হয়?’