২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দল বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে আলাদা আলাদা স্বপ্ন এঁকে। বাবর আজমের পাকিস্তান নামছে দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন এঁকে। নেদারল্যান্ডসের স্বপ্ন সেমিফাইনালে পা রাখা।
বাবর আজমের পাকিস্তানের শিরোপা স্বপ্ন দেখাটা বাড়াবাড়িও কিছু নয়। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে সত্যিকার অর্থেই শিরোপার অন্যতম দাবিদার পাকিস্তান। বিপরীতে আইসিসির সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়াটাই ছিল বিস্ময়। সেই নেদারল্যান্ডস এখন স্বপ্ন দেখছে সেমিফাইনালে ওঠার, যা দলীয় সামর্থ্য বিবেচনায় তাদের জন্য উচ্চাভিলাষীই। নিজেদের স্বপ্নপূরণের আশায় আজ দুই দলই চাইবে জয় দিয়ে মিশন শুরু করতে। দলীয় সেই লড়াইয়ের মধ্যে থাকবে ব্যক্তিগত লড়াইও। আর ব্যক্তিগত লড়াইয়ের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথটা হবে দুই দলের দুই অধিনায়কের মধ্যে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ও নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস দুজনেই নিখাঁদ ব্যাটসম্যান। দুজনেই নিজ নিজ দলের সেরা ব্যাটিং ভরসা। এমনিতে বাবর আজমের সঙ্গে স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের তুলনা হয় না। বাবর এরই মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাত্র ১০৮টি ওয়ানডে খেলেই করেছেন ৫৪০৯ রান। গড় ৫৮.১৬। করেছেন ১৯টি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফ সেঞ্চুরি। বিপরীতে আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার হিসেবে স্কট অ্যাডওয়ার্ডস নিয়মিত ওয়ানডে খেলার সুযোগই তেমন পান না। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মাত্র ৩৮টি ওয়ানডে। তবে ছোট দলের বড় তারকা হিসেবে সেই ৩৮ ম্যাচেই নিজের জাতটা চিনিয়েছেন অ্যাডওয়ার্ডস। করেছেন ৪০.৪০ গড়ে ১২১২ রান। সেঞ্চুরি না পেলেও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১৩টি।
সামগ্রিক পরিসংখ্যানের মতো মুখোমুখি দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে যোজন এগিয়ে বাবর আজম। ২০২২ সালের আগস্টে প্রথম বারের মতো তিন ম্যাচের যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি খেলেছে নেদারল্যান্ডস-পাকিস্তান, সেই তিন ম্যাচেই মাঠে মুখোমুখি হয়েছেন বাবর আজম ও স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। তো তিন ম্যাচেই দলকে জেতাতে বাবর আজম করেছেন মোট ২২২ রান। খেলেছিলেন ৭৪, ৫৭ ও ৯১ রানের ইনিংস।
বিপরীতে অ্যাডওয়ার্ডস তিন ম্যাচে করেছেন মোট ৮২ রান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৭১ রান করা অ্যাডওয়ার্ডস পরের দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হন, আউট হন ৫ ও ৬ রান করে। পরিসংখ্যানটা পুরো বিপরীতমুখী হলেও আজ হায়দরাবাদে দুই অধিনায়কের মধ্যে ব্যক্তিগত একটা দ্বৈরথ থাকবেই। অধিনায়ক ও দলের বড় ব্যাটিং ভরসা হিসেবে নিজ নিজ দলকে জেতানোর দ্বৈরথ।