ব্রিটেনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সংগঠন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী কমিটির সভা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা পূর্ব লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গেল শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ‘‘পিউর চাই’’ নামের একটি রেষ্টরেন্টের কনফারেন্স হলে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ মিজানুর রহমান মীরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দুই পর্বের অনুষ্টানের প্রথম পর্বে ছিল সাংগঠনিক আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা ও কবিতা পাঠ।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে রিপোর্টার্স ইউনিটির ইসি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত সদস্যদের ব্যাপক আলোচনা শেষে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ইসি কমিটির আলোচনায় অংশ নেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সহ-সভাপতি জামাল খান, সহ-সভাপতি সম্পাদক সাহেদা রহমান, জুবায়ের আহমদ, এসিসটেন্ট সেক্রেটারী এস.কে.এম. আশরাফুল হুদা, ট্রেজারার আজিজুল আম্বিয়া, অর্গানাইজিং এন্ড ট্রেনিং সেক্রেটারী মুহাম্মদ সুয়েজ, ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট সেক্রেটারী ইমরান মাহমুদ, আসমা মতিন, ইমদাদুন খান, সাংবাদিক শাকিল আহমদ সোহাগ, আব্দুল মমিন প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক আনসার আহমদ উল্লাহ, একুশের কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন-কবি স্মৃতি আজাদ, কবি হাফসা ইসলাম, কবি ইমদাদুন খান ও কবি আসমা মতিন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য একটি বিশেষ দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিক, সহ নাম নাজানা অনেকে। ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ সব বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী মানুষের জন্য গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক দিনটিকে বিশ্বের সকল মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। একসময় আমরা বাঙ্গালীরা দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করলেও ২০০০ সাল থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।