১০ জুন মঙ্গলবার ২০২৫ লন্ডনে ব্যস্তময় অতিবাহিত করেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তি কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস। লন্ডনে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে। তিনি হোটেলে প্রবেশের সময় প্রতিবাদকারীদের বাধার মুখে পড়েন। ঢুকতে হয়েছে পেছনের দরজা দিয়ে।
হোটেলে প্রবেশ করে কিছু সময় রেষ্ট করার পর তিনটি সাইড লাইন বৈঠক করতে হয়েছে তাঁকে। তার সাথে প্রথমে হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস কোম্পেনীর ভাইস প্রেসিডেন্টন। এটি ছিল মূলতঃ সৌজন্য সাক্ষাৎ।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
এর পর বাংলাদেশী বংশদ্বোত ব্রিটিশ এমপি ড. রূপা হকের নেতৃত্বে দেখা করেন অলপার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি আফছানা বেগম, ব্রিটিশ লর্ড সভার সদস্য ব্রিটিশ বাংলাদেশী মলা মঞ্জিলা উদ্দিন, ছিলেন না রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক এমপি। আরো ছিলেন ভারতীয় বংশদ্বোত লর্ড সভার সদস্য লর্ড ব্যালমোরিয়া ও অন্যান্যরা। এই সাক্ষাৎকারটি ছিল মূলতঃ সৌজন্য সাক্ষাৎ।
এর পরে দেখা করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আইয়র্কর বোটচওয়ে। এটাও ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অবাদ ও সুষ্টু নির্বাচনে সবধরেনের সহযোগীতা করবেন। তবে তিনি নির্বাচনের সময় বা বাংলাদেশের সংস্কারের বিষয়ে কোন কথা বলেননি। এটিও ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ ।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা, লেবার পার্টির প্রতিবাদ
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের প্রেস উইংকর্তৃক পরিবেশিত সংবাদে বলা হয়েছে
‘আগামী বছরের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি চায়, তাহলে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে পারলে আমরা খুশি হবো।’ এই কথাটি সত্য নয়। কমনওয়েল্থ মহাসচিব এমনটি বলেননি।
তিনি বলেছেন আগামী পাঁচ বছরে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা কমনওয়েলথের প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর একটি বলে জানান বোটচওয়ে। তিনি আরও জানান, কমনওয়েলথের অন্যান্য প্রধান অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা।