প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি) এর ব্যানারে লন্ডন এ এক বিশাল পদযাত্রার মাধ্যমে তাঁদের “নাকবা ৭৭ বার্ষিকী” শেষ করেছে। যে কারণে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ‘নাকবা’-এর ৭৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানায়।
১৭ মে ২০২৫ শনিবার লন্ডন সময় দুপুর ১২টায় লন্ডনের ট্রাফলগার স্কয়ায়ের এই প্রতিবাদ পদযাত্রায় ব্রিটেনের ম্যালটি ক্যালচারাল সোসাইটির বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ শিশু সহ হাজারও মানুষ ফিলিস্তিনি পতাকা প্লেকার্ড বহন গাজায় ইসরায়েলি কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ন্যায়বিচার এবং গত তিন মাস ধরে ইসরায়েল কর্তৃক আরোপিত অবরোধের অবসানের দাবি জানায়।
বিক্ষোভকারীরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের প্রতিও তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইসরাইলী মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ভন্ডামী প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের একটি স্থায়ী সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ কারীরা বলেন “আমাদের সংগ্রাম ধৈর্য এবং আশার সংগ্রাম”। বিশাল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ হাজার হাজার মনুষের এই সমাবেশ শত শত ব্রিটিশ বাঙ্গালী “বেঙ্গলী ফর প্যালেস্টাইন” ব্যানার নিয়ে অংশ নেন।
ব্রিটিশ বাঙ্গালী উল্লেখ যোগ্যদের মধ্যে ছিলেন নূরউদ্দিন আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলার ও মেইনষ্ট্রীম রজনীতক রাজনুদ্দিন জালাল, সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ, মানবাধিকার কর্মী শফিক আহমেদ, স্মৃতি আজাদ, আহমেদ ফখর কামাল, আবু হুসেন, মাহমুদ আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সহ আরও অনেকে।
বিক্ষোভকারীরা “মুক্তি না আসা পর্যন্ত” প্রতিবাদ এবং বয়কটের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ইসরায়েলের বর্ণবাদ ব্যবস্থার অবসান এবং সমস্ত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনের জন্য অধিকারের জন্য চাপ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও মর্যাদার মূলে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা, সংহতি এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তির আহ্বানের মাধ্যমে পদযাত্রার সমাপ্তি ঘটে বিকেল তিনটায়।