দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত মসলাগুলি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না এগুলির বেশ কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। বেশিরভাগ মসলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি মসলা, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লবঙ্গ জ্বর ও সর্দি-কাশি সারাতেও দারুণ কার্যকর। লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
শুধু লবঙ্গ যেমন ভালো, ঠিক তেমন লবঙ্গ চা খাওয়াও বেশ উপকারী। লবঙ্গ চা পানে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
ওজন কমায় : এই চা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এই চায়ে ব্যবহৃত মসলাগুলি হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে,এতে দ্রুত মেদ ঝরে।
ত্বকের সংক্রমণ কমায় : লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময় করতে পারে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এছাড়াও, এই চা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়া আটকায়।
সাইনাস থেকে মুক্তি দেয় : লবঙ্গ চা সাইনাস থেকে মুক্তি দিতে পারে। লবঙ্গে থাকা ভিটামিন ই এবং ভিটামিনকে শরীরকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। এই চা জ্বর নিরাময়েও দারুণ কার্যকর।
মাড়ি এবং দাঁতের ব্যথা কমায় : লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা এবং ফোলা মাড়ি থেকে মুক্তি দেয়। লবঙ্গ চা মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে, যার ফলে দাঁতের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
লবঙ্গ চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
দিনে একবার বা দুইবার লবঙ্গ চা পান স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবে অত্যধিক পান করলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, পেশি ব্যথা এবং শারীরিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী নারীদের অবশ্যই এই চা পানের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। এই চা পান করার পর যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন, তবে খাওয়া বন্ধ করাই ভাল। লবঙ্গ চা পানের পরে শরীর খুব খারাপ হলে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখাতে হবে।
যেভাবে বানাবেন লবঙ্গ চা : সসপ্যানে দুই কাপ পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এতে কয়েকটা লবঙ্গ গুঁড়ো করে দিন, এর সঙ্গে আদা থেঁতো এবং দারুচিনি মেশান। ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর চা ছেঁকে নিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।