বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুমঘাট অনতাখালী পল্লিতে তাণ্ডব চালায় প্রায় দুইশ লাঠিয়াল বাহিনী। এ সময় সম্প্রদায়ের ১২ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাঁদের মধ্যে চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ, স্থানীয় রাশিদুল ইসলাম ও এবাদুল হোসেন মুন্ডা সম্প্রদায়ের আট বিঘা জমি দখলে নিতে বংশীপুর, ঈশ্বরীপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাঠিয়াল ভাড়া করে এ হামলা চালায়।
হামলার শিকার ফনীন্দ্রনাথ মুন্ডা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে মুন্ডা সম্প্রদায়ের ভোগদখলে থাকা আট বিঘা জমি দখলের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী আবদুল গফুর সরদারের ছেলে রাশিদুল ও এবাদুল। গত কয়েক বছর আগে তারা ওই জমি নিজেদের দাবি করে হুমকি দিয়ে আসছিল দুই ভাই। এটি এখন আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে লাঠিয়াল বাহিনী এসে তাঁদের সব পরিবারকে ঘরে অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা বসতবাড়ি সংলগ্ন ওই চাষের জমি লাঙল দিয়ে চষে বীজতলা ধ্বংস করে দেয়। এ সময় কৌশলে কয়েকজন ঘর থেকে বেরিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে তাঁর স্ত্রীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত সুলতা মুন্ডা, রানী মুন্ডা, বিলাসী মুন্ডা ও তাঁর স্বামী নরেন্দ্র মুন্ডাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করা হয়েছে।
সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা বলেন, আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মুন্ডা সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন ও ভোগদখলে থাকা জমি দখল করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তাঁরা হামলার খবর জানতে পারেন। পরে পুলিশ গিয়ে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।