বরিস জনসনের পর ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লিজ ট্রাসই নির্বাচিত হতে চলেছেন, এমনটা ধরে নিয়েই পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করতে চলেছে কনজারভেটিভ পার্টি। দলের প্রবীণ নেতাদের একাংশ মনে করছেন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে লিজ ট্রাসকে ‘উদারতা’র পরিচয় দিতে হবে। এই অংশটি মনে করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আস্থাভাজন হলেও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে জনসন-বিরোধী অংশকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত লিজের।
সোমবারই ব্রিটেনে সাত সপ্তাহ ব্যাপী নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হওয়ার কথা। নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ে লিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক এগিয়ে গেলেও শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরের খবর, শেষ হাসি হাসতে চলেছেন বরিস মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাসই।
ব্রিটেন এমনিতেই নানা অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দেশটিতে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। ‘পার্টিগেট’-সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে পদ ছাড়তে কার্যত বাধ্য হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেনের পরবর্তী নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে ফের ক্ষমতায় নিয়ে আসা লিজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করছে তার দলেরই একাংশ। দলের ভেতরের নানা উপগোষ্ঠীর বিরোধকে সামাল দিতে হবে তাকে।
কনজারভেটিভ পার্টির বরিসবিরোধী একটা অংশ আশঙ্কা করছে, জনসনঘনিষ্ঠ নেতা ও দলের উগ্র-দক্ষিণপন্থীদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন লিজ ট্রাস। এর মাধ্যমে দলের মধ্যপন্থী অংশটিকে কোণঠাসা করা হতে পারে বলে এই অংশের আশঙ্কা। তাদের মধ্যে দু’টি নাম নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে বরিসবিরোধী অংশটি। তারা হলেন জন রেডউড ও ডানকান স্মিথ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রবিবারই কনজারভেটিভ পার্টির এক বরিসবিরোধী নেতা বলেন, ডানকান আর রেডউডকে সরকারের শীর্ষমহলে বসালে তা দল ও সরকারের জন্য ভালো হবে না। জনসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে যে সংসদীয় তদন্ত চলছে, তাও এই দুজন প্রভাবিত করতে পারেন বলে মনে করেন এই নেতা।