শক্তি ছাড়া শান্তি অর্জন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কারগিলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সোমবার ( ২৪ অক্টোবর) দীপাবলি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার যুদ্ধকে সবসময় শেষ বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মোদি বলেছেন, ‘আমরা সবসময় যুদ্ধকে শেষ বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করি। আর এই যুদ্ধ লঙ্কা অথবা কুরুক্ষেত্রে হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তা ঠেকানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিশ্ব শান্তির পক্ষে।’
ভারতের সামরিক বাহিনীর সৈন্যদের নিজ পরিবার হিসাবে বলে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তাদের (সৈন্যদের) ছাড়া ভালো দীপাবলি উদযাপন করা যায় না। সৈন্যদের সাহসিকতার প্রশংসাও করেছেন তিনি। বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে এমন কোনও যুদ্ধ নেই, যেখানে কার্গিল জয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
সৈন্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মাঝেই আমার দীপাবলির মাধুর্য এবং ঔজ্জ্বল্য।’ সৈন্যদের সাহসিকতার প্রশংসা করে মোদি বলেন, দ্রাস, বাটালিক ও টাইগার হিল সৈন্যদের অসামান্য সাহসিকতার সাক্ষী হয়ে আছে। কারগিলে আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাস দমন করেছে। আমি এই ঘটনার সাক্ষী।
ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এখন বিশ্বজুড়ে সম্মানিত। আপনারা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন। আমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করি। যদি আমাদের চ্যালেঞ্জ জানানো হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জানে কীভাবে শত্রুকে তাদের নিজস্ব ভাষায় যথাযথ জবাব দিতে হয়।’
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় দীপাবলি উদযাপন করছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, আমাদের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনী— সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী আমদানি করা সরঞ্জামের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাতে ব্যবস্থা নিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, সীমান্ত সুরক্ষিত থাকলেই কেবল দেশ সুরক্ষিত হয় থাকে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। গত সাত-আট বছরে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে দশম থেকে পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ভারতীয় পতাকা সেখানে আটকে থাকা নাগরিকদের জন্য একটি সুরক্ষা ঢাল হয়ে উঠেছিল।
দুর্নীতি নিয়ে ভারতের বিগত সব সরকারকে নিশানা করে মোদি বলেন, অপশাসন দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা সীমিত করেছে। তিনি বলেন, দেশ আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধে লড়াই করছে। দুর্নীতিবাজ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, পালাতে পারবে না, বাঁচতেও পারবে না। অপশাসন দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশের সম্ভাবনা সীমিত করেছে এবং আমাদের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে নারী ক্যাডেট নিয়োগের ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি বলেন, সেনাবাহিনীতে আমাদের মেয়েদের আগমনের সাথে সাথে আমাদের শক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।