ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা রাস্তায় রিকশা চালাচ্ছেন। প্যাডেলে পা দিয়ে চালাতে চালাতে পরিশ্রান্ত, ঘামে ভিজে একাকার। ক্লান্তিতে রাস্তার কিনারে রিকশাটা দাঁড় করিয়ে মাথা এলিয়ে দিচ্ছেন সিটে। রোদ থেকে বাঁচতে রিকশার হুড তুলে বসে আছেন।
এমন দৃশ্য অবশ্যই বাস্তবে দেখা গেলেও এটি অবশ্যই নাটকের। নাটকটির নাম ‘রিকশা গার্ল’। এতে একজন রিকশাচালক তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিশা।
ঈদ উপলক্ষ্যে আরটিভিতে প্রচারিত হয়েছে নাটকটি। ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় এটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে আরটিভি ড্রামা চ্যানেলে।
রিকশাচালক হিসেবে তিশার বেশভূষাও ছিল মানানসই। তার অভিনয়ও ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। নাটকটি দেখে দর্শকদের অনেকেই কেঁদে ফেলেন।
সব মিলিয়ে নাটকটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রথম ১৬ ঘণ্টাতেই ৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে নাটকটি।
কমেন্টের ঘরে এখনো জমা হচ্ছে ইতিবাচক সব মন্তব্য। বেশিরভাগই তিশার অভিনয়ের প্রশংসা। অনেকে শুধু অভিনেত্রী তিশাকেই নয়; নাটকের গল্প, পরিচালক এবং সহ-অভিনেতাকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন।
নাটকটি প্রশংসিত হয়েছে দেশের সীমা ছাড়িয়ে ভারতেও।
অ্যাঞ্জেল লামিয়া নামে এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘আমি ইন্ডিয়ান হয়েই বলছি— বাংলাদেশের নাটক দেখে আমার গর্ব হয়। সব নাটকেই ভালো কিছু শেখার আছে, বাংলাদেশের নাটক হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত।
আরেকজন লিখেছেন— ‘অসাধারণ! এই নাটক দেখে আমরা কাঁদলাম। বাস্তবে যারা এই পরিস্থিতিতে আছে, তাদের কথা একবার ভাবুন। এই সমাজে যারা সামর্থ্যবান তারা একটু সুদৃষ্টি দিন। তা হলে সমাজটা বদলে যাবে।
তিশার প্রশংসায় রিয়াজ আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি লিখেছেন— ‘সত্যিই চমৎকার একটা কাজ হয়েছে। শেষটা দেখে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। তিশার অভিনয় অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছে। ব্যতিক্রম একটি গল্প। গানও অর্থবহ।
’নাটকের গল্পটি যেমন সংগ্রামী নারী শিখা। শহরের কোনো এক বস্তিতে ছোট বোন পরীকে নিয়ে তার সংসার। প্রতিদিন সে তার রিকশা নিয়ে কাজে যায়। পরীকে বাসায় একা রেখে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বের হন শিখা। বস্তির রানু খালা কাজের ফাঁকে খেয়াল রাখে পরীর।
শিখা এই রিকশা চালাতে গিয়ে প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সবাই তার দিকে এমনভাবে তাকায়, যেন সে চিড়িয়াখানার প্রাণী! তবে শিখার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। তার আর পরীর অন্ন-বাসস্থানের জন্য এদের কেউ এগিয়ে আসবে না।
রিকশার চাকা ঘোরার সঙ্গে এভাবেই চলতে থাকে শিখার জীবন।
ব্যতিক্রমী গল্পের নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। রচনায় আহমেদ তাওকীর। এতে তিশার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল।
’