সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছেন। রোববার (৩০ অক্টোবর) লংমার্চের তৃতীয় দিন ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে এ দিনের লংমার্চ শেষ করার পর ইমরান বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ দাবি করেছেন, আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়ে মাসখানেক আগে এক ব্যবসায়ী বন্ধুর মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ইমরান। কথা বলতে চেয়েছিলেন সেনাপ্রধানের নিয়োগ ও আগাম নির্বাচন নিয়ে। তবে সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শাহবাজ জানান, সাংবিধানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করা। তিনি ইমরান খানকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী এই কাজ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের এমন দাবির কড়া সমালোচনা করেছেন ইমরান। রোববার মুরিদকে থেকে লংমার্চ শুরু করে দুপুরে সাধোকে পৌঁছে নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আমি একজন বুট পলিশারের (শাহবাজ শরিফ) সঙ্গে কেন আলোচনায় বসব?’
সরকারকে সতর্ক করে ইমরান আরও জানান, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির দিকে জনসমুদ্র ধেয়ে আসছে। এটা সামলাতে প্রস্তুত থাকুন। জাতির উদ্দেশে তিনি জানান, তাদের উদ্দেশ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা।
সরকার পাকিস্তানজুড়ে ভয়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান। তিনি জানান, এখন দেশে সাংবাদিকেরাও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য অনেক সাংবাদিক দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকুন। চোরের সঙ্গ দেবেন না। চোরের দলকে সমর্থন দিলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
পিটিআইয়ের লংমার্চ লাহোর ছাড়িয়ে ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে এই লংমার্চ রাজধানীতে পৌঁছাবে। পিটিআই জানিয়েছে, সরকার পতনের জন্য লংমার্চ করা হচ্ছে না। তাদের দাবি আগাম নির্বাচন। সংবিধান মেনেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার।