মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকে জেল থেকে ছাড়ার জন্য নাকি শাহরুখের কাছে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন তৎকালীন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। আগেই সমীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সকলের মনে এখনও সজীব আরিয়ান খান মাদককাণ্ড। তবে এখন চর্চার কেন্দ্রে ওই মামলার তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিক ও প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। সমীরের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। সেই সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে শাহরুখ খানের সঙ্গে নিজের কথোপকথন প্রকাশ করেন প্রাক্তন এনসিবি কর্তা। আরিয়ান হেফাজতে থাকার সময়ই নাকি শাহরুখের সঙ্গে ওই কথোপকথন হয়েছিল তাঁর, দাবি ওয়াংখেড়ের। সমীর এই তথ্য প্রকাশ করার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় চাপানউতর। নিজেরই প্রাক্তন সংস্থা এনসিবির রোষের মুখেও পড়েন ওয়াংখেড়ে। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্থিক তছরুপ অর্থাৎ ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর অধীনে একটি কেস দায়ের করেছে। সমীর ছাড়াও এই বিষয়ে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একাধিক আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
২০২১ সালে কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে মাদক পাচারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগে পাকড়াও করা হয় আরিয়ানকে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ দিনের হাজতবাসও হয় শাহরুখ-পুত্রের। যদিও শেষমেশ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন শাহরুখ-পুত্র।