ডলার সংকটের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কয়েক মাস ধরেই কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৪১ শতাংশ কমে ৮৩ কোটি ডলারে নেমেছে। প্রথম তিন মাসে কমেছিল ৩৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারের। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নিষ্পত্তি কম হয়েছে ২৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি প্রায় ১৬ শতাংশ কমে ৭ হাজার ৫০৬ কোটি ডলারে নেমেছিল।
মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে সবচেয়ে বেশি হারে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমেছে শিল্পের কাঁচামাল। প্রথম চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৩৬ শতাংশ কমে ৬৯১ কোটি ডলারে নেমেছে। ভোগ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি ২৪ শতাংশের বেশি কমে ২১৭ কোটি ডলার হয়েছে। পেট্রোলিয়ামের এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৫ শতাংশ কমে ৩৩১ কোটি ডলার দাঁড়িয়েছে। মধ্যবর্তী পণ্যে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। অন্যান্য পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি ১৩ শতাংশের বেশি কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার-সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগের পরও তেমন কাজ হচ্ছে না। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে বৃহস্পতিবার ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে আমদানি কমছে। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে নানা নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ রয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতির কারণে নতুন বিনিয়োগও তেমন হচ্ছে না। ফলে শিল্প ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত আমদানিতে এর প্রভাব পড়েছে।
জানা গেছে, ডলার-সংকটের কারণে নতুন এলসি খুলতে চাইছে না অনেক ব্যাংক। এলসি খুললেও দাম নিচ্ছে ১২২ থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী এখন ‘ধীরে চলো’ নীতি অনুসরণ করছেন।