খুলনা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনায় যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে নগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন।
ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় গিয়েছিলেন।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফর রাষ্ট্রীয় নয়। সে কারণে তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ হবে কিনা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সময় দলের নেতাদের ডেকে দলীয় সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে জানতে পারেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় একটি জমি কেনা ছিল। জমির ওপর পাট গোডাউন ছিল। নেত্রী দীর্ঘদিন সেখানে আসেননি। আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৮২ সালে একবার এসেছিলেন।
তবে আওয়ামী লীগের দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা দেখা করতে পারবেন। তাদের সঙ্গে খুলনাসহ এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলাপ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না। ২০০৭ সালে তিনি ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নামে।