নাজিফা তুষি। অভিনেত্রী ও মডেল। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘হাওয়া’।মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি স্বল্প সময়ে দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।এ ছবির সাফল্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে-
‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কেমন লাগছে?
বেশ ভালো,একটি সিনেমা নিয়ে আলোচনা হলে শুধু আমার একার নয়,সবারই ভালো লাগে।অনেক বছর পর দর্শক সিনেমা নিয়ে মাতামাতি করছেন।দর্শকরা আমার অভিনীত ‘গুলতি’ চরিত্রটি পছন্দ করেছেন।মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।নিজের ভেতর এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।অনেকেই আমাকে ফোনে,ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।এ এক অন্যরকম আনন্দ।
ছবিটি নিয়ে হলে হলে ঘুরছেন। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন লক্ষ্য করছেন?
এক কথায়,অসাধারণ।যে হলেই যাচ্ছি,দর্শক আমাকে দেখে চিৎকার করে উঠছেন।আমাদের ঘিরে ধরেছেন সেলফি তোলার জন্য।ছবিটি ঘিরে ক্রমেই দর্শক-আগ্রহ বাড়ছে।প্রেক্ষাগৃহগুলো হাউসফুল।দর্শক টিকিট পাচ্ছেন না।আমি নিজেই টিকিট পাইনি বলে হলের সিঁড়িতে বসে সিনেমা দেখেছি।মানুষের এত ভালোবাসা,সবার এত আগ্রহ – আমি এ রকম দেখিনি আগে।আসলেই আমাদের এই সিনেমা দর্শকই প্রমোট করেছেন।সিনেমাটি মুক্তির আগে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি ছিল দর্শকের মুখে মুখে।দর্শকের চাওয়া ছিল – হাওয়া ছবিটি গানের চেয়ে আরও ভালো হবে। তাঁদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
কী কারণে দর্শক সিনেমাটি দেখছেন?
বর্তমানের দর্শক প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন দেশের কাজ নিমিষেই দেখতে পারেন।ফলে ভালো কনটেন্ট পেলে দর্শক হলমুখী হবেনই।দর্শকদের উদ্দেশে এটাই বলব,আপনারা হলে আসার যে অভ্যাস গড়ে তুলেছেন,তা জারি রাখুন। তাহলেই আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাবে।
এ সিনেমায় তুষি থেকে ‘গুলতি’ হওয়ার সফরটি কেমন ছিল?
‘গুলতি’ রহস্যময় চরিত্র।শুটিংয়ের ছয় মাস আগে থেকেই ওই চরিত্রের জীবনযাপন শুরু করতে হয়েছে।’গুলতি’র জীবনে ঢোকার জন্য তুষির জীবন থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছি।চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য বেদেপল্লিতে গিয়েছি,তাঁদের সঙ্গে মিশেছি।শুটিংয়ের এক মাস মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনি।কয়েক মাস ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি।ইউনিটের সবার সহযোগিতা পেয়েছি বলেই হয়তো ঠিকঠাক চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।
সম্পাদক- বখতিয়ার রহমান
প্রকাশক- শাওন ফারহানা
নির্বাহী সম্পাদক- ফরিদ সুমন