দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) লেনদেনে বিমা খাতের কোম্পানির দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। এদিন এই বাজারে ৩০টি বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে মাত্র ৯টির। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে মূল্যসূচকে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস ডিএসইতে সূচক বাড়ল। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮.৯১ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৩১.৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৫৫ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ২১০৮.৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এই বাজারে ৩৪৯ কোটি ১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গতকাল লেনদেনকৃত মোট কোম্পানির মধ্যে ৯৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮১টির দাম। এছাড়া মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩০টিই বিমা খাতের কোম্পানি।
দেশের প্রধান এই শেয়ার বাজারে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ২০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিকিউ বলপেনের ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ইয়াকিন পলিমার, ফু-ওয়াং ফুড, মুন্নু সিরামিক, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আফতাব অটোমোবাইল, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ২৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৯টির দর।