সন্তানসহ কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিমবঙ্গের বাগদায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই বিএসএফ সদস্যকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল পদমর্যাদার।
জানা যায়, ওই গৃহবধূর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে। বনগাঁও জেলা পুলিশ সুপার তরুণ চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাগদা থানার অন্তর্গত বনঘাটের জিতপুর সীমান্ত দিয়ে বসিরহাটের এক গৃহবধূ তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করছিলেন। সে সময় ওই এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এই দুই সীমান্তরক্ষী। সীমান্তরক্ষীদের দেখে ওই নারী সীমান্ত ঘেঁষা পটল ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, ক্ষেতের থেকে তুলে এনে তার পাঁচ বছরের শিশু মেয়ের সামনেই বিএসএফ সদস্যরা সংঘবদ্ধভাবে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এদিকে এমন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
সরকারি আইনজীবী অসীম সরকার জানান, বাগদায় অভিযুক্ত দুই বিএসএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বনগা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় বিচারক।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘যাদের কাছে দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকার কথা, তাদের হাতেই নিরীহ সাধারণ গৃহবধূ নারীরা এভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।’