বড়দের মতো নানা কারণে ছোটদের মধ্যেও বিষন্নতা দেখা দেয়। কিন্তু অনেক বাবা-মাই তা বুঝতে পারেন না। তারা মনে করেন, দামি উপহার দিলে হয়তো তাদের মন খারাপ কেটে যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিন বিষন্নতা থাকলে ধীরে ধীরে কিশোর-কিশোরীকে একাকীত্ব গ্রাস করে।
সন্তান বিষন্নতায় ভূগছে কিনা তা জানতে কয়েকটি লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখুন। যেমন-
১. প্রতিদিনের কাজকর্মে অনীহা
২. অপরাধবোধ এবং আত্মপ্রত্যয়ের অভাব
৩. রাত্রে না ঘুমোনো
৪. খিদে না পাওয়া বা বেশি-বেশি খাওয়া
৫. অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া এবং আশেপাশের ঘটনা থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া
৬. অধ্যবসায়ের অভাব, দুর্বল স্মৃতি এবং নেগেটিভ চিন্তাভাবনা
৭. আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলা বা সেই বিষয়ে নেটসার্ফিং করা
যা করণীয়
সন্তান যখন আপনার তখন সবচেয়ে বেশি দায়িত্বও আপনার। সে পড়াশোনা করছে কিনা সেটা দেখা যেমন কর্তব্য, সেরকমই তার মনে কী চলছে সেটা বোঝাটাও জরুরি। হোমওয়ার্কের খাতা দেখার সঙ্গে খোঁজ নিন সে সারাদিন স্কুলে বা
পরীক্ষার ফল খারাপ হলে বকাঝকা না করে সন্তানের আত্মপ্রত্যয় বাড়ান। পরেরবার ভালো করার জন্য তাকে উৎসাহ দিন।
এখন অনেক অনলাইন সাইটে বাবা-মাসহ সন্তানের বিনামূল্যে কাউন্সেলিং হয়, সেখানে অংশগ্রহণ করুন।
শরীর যেরকম খারাপ হয়, ঠিক সেরকমই মনও খারাপ হতে পারে। তাই সেই সমস্যাকে এড়িয়ে না গিয়ে সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠুন। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।