ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, সভ্য সমাজের সবচেয়ে বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ। ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমগুলো সন্ত্রাসবাদীদের শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই মিলে এর মোকাবিলা জরুরি বলে জানান তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো ইদানীং প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী অপকর্মের বিস্তার ঘটাচ্ছে। স্বাধীনতা, সহনশীলতা ও উন্নয়নকে আক্রমণ করে ধর্মান্ধতা ও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রচার করতে তারা ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৯ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই প্রথম ভারতে তাদের সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে এই বৈঠক শুরু হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা জঙ্গিদের তাণ্ডবলীলায় ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছিলেন এই হোটেলে।
একই সময়ে মুম্বাই শহরের অন্য এক হামলায় মোট ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন তিন শতাধিক। শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হয় নয়াদিল্লিতে।
জয়শঙ্কর ঘোষণা করেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে ফলপ্রসূ করতে জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ট্রাস্ট তহবিলে ভারত চলতি বছরের জন্য ৫ লাখ ডলার দেবে। শুক্রবার সম্মেলনের প্রথম দিন জয়শঙ্কর পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে তাদের বিরুদ্ধে ২৬/১১ হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করার অভিযোগ করেছিলেন।
সন্ত্রাস দমনে জাতিসংঘের অপারগতা উল্লেখ করে তিনি জানান, সন্ত্রাসে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে জাতিসংঘ এখনও প্রয়োজনীয় ও আবশ্যিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমগুলো যাতে সন্ত্রাসবাদীদের হাতিয়ার না হতে পারে, সে জন্য শনিবার নয়াদিল্লির সম্মেলনে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার ওপর জোর দেন।