সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তার জ্জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার রজার বিনি। তবে সৌরভকে সরিয়ে বিনির দায়িত্ব আসা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এবার সেই ঘটনা নিয়ে আদালতে দায়ের করা হলো মামলা।
সৌরভকে বিসিসিআই থেকে সরানো হয়েছে বেআইনি ভাবে, এমন অভিযোগ তুলে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিসিসিআইয়ের সভাপতি এবং সচিব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট রায় রয়েছে। সৌরভকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই রায় ঠিক মতো মানা হয়নি! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ যদি বোর্ডের দায়িত্ব বহাল থাকতে পারেন, তবে সৌরভ কেন নয়? তাকে কি রাজনৈতিক কারণে সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে?’
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যে কোনো রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর এবং কেন্দ্রীয় বোর্ডে ৬ বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন একজন কর্মকর্তা। সেই সময় হিসেবে সৌরভের হাতে এখনও বাকি ছিল ৩ বছর। এদিকে সচিব পদে জয় শাহ দায়িত্বে থেকে গেলেও সরে যেতে হয়েছে সৌরভকে। এই নিয়েই গত কিছুদিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতির জগত।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিলো সৌরভ যাবেন আইসিসিতে, তবে বিসিসিআই কর্মকর্তারা ভারতীয় বোর্ডের পক্ষে কাউকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আইসিসিতেও মনোনয়নপত্র জমা দেননি সৌরভ।
এদিকে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব ছাড়ার পর আবারও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতির পদে নির্বাচন করার কথা ছিল সৌরভের। তবে সিএবির নির্বাচনেও মনোনয়ন জমা দেননি সৌরভ। সিএবির সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সৌরভেরই বড় ভাই স্নেহাশীষ গাঙ্গুলি।
সৌরভ পরে জানিয়েছিলেন, ‘‘নির্বাচনই হলো না। যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন হয়নি। জানি না কেন হয়নি।’