ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শনিবার সমাবেশ ডেকেছিল উপজেলা বিএনপি। এজন্য দলীয় প্যাডে আবেদন করে জেলা প্রশাসকের অনুমতিও নিয়েছিল দলটি। কিন্তু নির্ধারিত দিনে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হননি বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এমনকি এদিন দলটির কোনো নেতা-কর্মীকেই মাঠে দেখা যায়নি। তবে শনিবার সকাল থেকে উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল।
বিএনপির সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসুর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লাসহ অনেকের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু নেতা-কর্মীদের পাশপাশি আমন্ত্রিত অতিথিরাও কেউ আসেননি। এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা পণ্ড হয়ে যায়।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার রূপসদী অথবা সোনারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংগঠনিক সভার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চায় উপজেলা বিএনপি।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে বিএনপির সমাবেশস্থল ছাড়াও উপজেলার আরো কয়েকটি জায়গায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর সরব ছিল। আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিকেল পর্যন্ত উপজেলার রূপসদী, সোনারামপুর বাজার মাঠ, কড়িকান্দি ফেরিঘাট, সদর, মরিচাকান্দি, উজানচর ও ফরদাবাদে সভা করেছেন। অপরদিকে উপজেলার কোথাও বিএনপির নেতা-কর্মীরা দেখা মেলেনি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা সদরের মুছা মার্কেটে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ভিপি এ কে এম মুসার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দলের কিছু নেতা-কর্মী জড়ো হন। তারা শনিবারের সভার জন্য কার্যালয় থেকে ব্যানার নিয়ে যান। এরপর তাদের আর দেখা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা বলেন, মূলত গুম, হত্যা, খুন ও নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা কোথাও সভা করতে পারিনি। যেখানেই সভা করতে চেয়েছি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে সভা করেছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলী বলেন, পুলিশ রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতা-কর্মীদের তল্লাশি করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা আটকে রেখেছেন।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, দল ও দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সভা সমাবেশ করেছি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, বিএনপি নেতারা আমাদের কাছে সভা করতে সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা সভা এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা সভাস্থলে আসেননি। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হয়নি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।