একটি খারাপ ফল এশিয়া কাপ থেকে সম্ভাব্য বিদায়ের পথ দেখিয়ে দিতে পারে, এমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুপার ফোরের খেলা শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সফল হয়েছে। গ্রুপ পর্বে হেরে যাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও গ্রুপে হারের বদলা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত পাকিস্তানিদের কাছে হেরে নড়বড়ে অবস্থানে।
মঙ্গলবার দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে হারা যাবে না রোহিত শর্মার দলকে। যদি হারে তাহলে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ একেবারে খাদের কিনারায়। তখন অন্য দলগুলোর ফলের ওপর নির্ভর করতে হবে ভারতকে। আফগানিস্তানকে হারাতে হবে বিশাল ব্যবধানে এবং চাইতে হবে পাকিস্তান বাকি দুটি ম্যাচ হারুক।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কা ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে। দলটি টুর্নামেন্ট বাজেভাবে শুরু করেছিল। মাত্র ১০৫ রানে আফগানদের কাছে গুটিয়ে যাওয়ার পর বিব্রতকর হার। এরপরই উজ্জীবিত জয় বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাঁচা মরার ম্যাচে ১৮৪ রান তাড়া করে জেতে তারা। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সুপার ফোরের ম্যাচেও ১৭৬ রানের লক্ষ্যপূরণ করে স্বস্তিদায়ক জায়গায় লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা টি-টোয়েন্টিতে সুপারস্টারের কাতারে না পড়লেও প্রমাণ করেছে, বড় লক্ষ্য সামনে এলেও তাদের সামর্থ্য আছে পূরণ করার। আফগানদের বিপক্ষে পাথুম নিশানকা, কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা ও ভানুকা রাজাপাকশা ঝড়ো ইনিংস খেলে ত্রিশের কোটায় রান করেন, তাতে করে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ৪৫ বলে ৮৪ রান বৃথা যায়। ভারতের বিপক্ষে একই পরিকল্পনায় রান তাড়া করতে চায় দ্বীপরাষ্ট্রটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে হারা ভারতের জন্যও ইতিবাচক দিক আছে। শুরুর দুই ম্যাচে প্রথম বলে ডাক ও ৩৬ বলে ৩৯ রান করা লোকেশ রাহুল ফর্মে ফিরেছেন, দারুণ শটে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ২০ বলে ২৮ রান। বিরাট কোহলিও তার সেরা ফর্মের কাছাকাছি মনে হচ্ছে। শেষ দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
অস্বীকার করার উপায় নেই, পাকিস্তানের কাছে হার বড় ধাক্কা দিয়েছে ভারতকে। সঙ্কটময় মুহূর্তে তাদের ভাগ্য নিজেদেরই গড়তে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব হারাতে না চাইলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততেই হবে। সেক্ষেত্রে তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে এই বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে ঘরের মাঠে তিন টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি।