যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জগঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে জামিন ও চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক সম্রাটের চার্জগঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) সিসিইউ থেকে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন সম্রাট। এরপর আসামি জামিন চাইলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান নিম্ন আদালত। আসামিকে কারা কর্তৃপক্ষের অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার কারাগারে নেয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হাজারখানেক নেতাকর্মী সম্রাটের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তিন শর্তে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। ১৬ মে দুদক তার জামিন বাতিলের আবেদন করে উচ্চ আদালতে। ১৮ মে হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করেন। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করার পর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরদিন র্যাব-১ এর আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পরে অর্থপাচার আইনে মামলায় হয়। পরে একই বছরের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত এসব অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মামলাটির চার্জশিট গত ২২ মার্চ গ্রহণ করেন আদালত। অন্যদিকে গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এবং গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলাতে জামিন পান সম্রাট।