আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকারপন্থি ও স্বাধীনতার সপক্ষের ১২-১৫টি ইসলামি দল। জোট গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রের কন্ফারেন্স হলে সভা করেছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। জামায়াত, জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থিদের রুখতে এবং সরকারের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সমমনাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ইসলামি দল ও সমমনা দলের বৃহত্তর ঐক্য এখন সময়ের দাবি’ শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি লায়ন এম এ আউয়াল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মানুষ আগামীতে যেন আরো ভালো থাকতে পারেন—সেই লক্ষ্যে দেশের চলমান সার্বিক উন্নয়নে আমরা সরকারের সহযাত্রী হিসেবে কাজ করতে চাই। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামি দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি।
এম এ আউয়াল বলেন, আমাদের আগের যে ‘ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স’ রয়েছে সেটাকেই আমরা পুনর্গঠন করতে যাচ্ছি। দ্রুতই একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। শুধু নির্বাচন নয়, সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোর সমাধানেও সোচ্চার হতে হবে। রাজপথেও থাকতে হবে, নির্বাচনেও অংশ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। কিন্তু, যে দুর্নীতি আজকে সমাজের রন্ধ্রে-
প্রবেশ করেছে সেটিকেও রুখতে হবে। দ্রব্যমূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। এজন্য বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করা জরুরি।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম নিজের পায়ে হাঁটব। কিন্তু, এখন জাতির প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি সেই ২০০৫ সাল থেকে। ন্যায়কে ন্যায়, অন্যায়কে অন্যায়, দুর্নীতিকে দুর্নীতি ও কালোকে কালো বলব আমরা।’ তিনি বলেন, উগ্রবাদী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ইসলামিক পার্টির মহাসচিব ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খান। অতিথি আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, দেশপ্রেমিক জনতা দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন খান, পিপলস জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম হায়দার আলী, তৃণমূল বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আক্কাস আলী খান ও যুগ্ম-মহাসচিব কবি রোকসানা আমীন সুরমা প্রমুখ।