যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলী কৌর, ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন ওই দলে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত শনিবার ভারত ও বাংলাদেশ সফর শুরু করে। ভারত সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া।
উজরা জেয়ার সফর প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবপাচার মোকাবেলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
দলটির সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। তবে এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এমনটি ভাবাও ঠিক হবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সাধারণত এ ধরনের সফরে উভয় পক্ষ নিজ নিজ প্রত্যাশা ও ভাবনার কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার তুলে ধরবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচনের পাশাপাশি বাকস্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা সংকট, মানবপাচার, শ্রম পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয় আসতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হবে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা উঠলে আগামী নির্বাচন সহিংসতামুক্ত রাখতে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাব দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহ হতে পারে—এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে অগ্রগতি জানাবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বাংলাদেশ তার হতাশার কথাও জানাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সময় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী—দুজনের সঙ্গে আলোচনাতেই গুরুত্ব পেতে পারে মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো বৈঠকে তুলে ধরার প্রস্তুতি রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগও তুলে ধরা হতে পারে বৈঠকে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন : কক্সবাজার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি ও টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে পৌঁছে।
উখিয়া ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল উখিয়ায় তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দলটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যায়। উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনোসাইডের বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানান। উজরা জেয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের খাদ্য সহায়তা কমার বিষয়টি তুলে ধরার পর মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নতুন করে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার জুবায়ের একটি অনুরোধপত্র দেন মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়াকে। রোহিঙ্গা যুব নেতা মোহাম্মদ মুসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ইমাম ও যুবকদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করে। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলের কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আরোপিত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কথা তুলে ধরে। রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদা এবং সব অধিকার নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায়।