লিগ শেষ হতে আর বাকি কয়েক ম্যাচ। তবে ইতোমধ্যে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে যে স্প্যানিশ লা লিগা শিরোপা এবার যাচ্ছে কাদের ঘরে। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা। তাই ক্লাবটি আগামী মৌসুমের জন্য নিজেদের অন্যভাবে প্রস্তুত করছে। এর মধ্যে গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে খেলতে নেমে করে ফেলে এক অন্যন্য কীর্তি। খেলতে নামান নিজেদের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার লামিন ইয়ামালকে। আর তিনি নেমেই ভেঙে ফেলেন ১০১ বছরের রেকর্ড। নিজের নামে করে নেন সর্বকনিষ্ঠ হয়ে খেলতে নামার রেকর্ড।
শনিবার রাতে নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায় বার্সেলোনা। এই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে দলের তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গাভির বদলি হয়ে মাঠে নামেন লামিন। মাঠে নামার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর ২৯০ দিন। আর এই বয়সেই লামিন গড়ে ফেলেন বার্সার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার কীর্তি। এর আগে এই কীর্তি ছিল আরমান্দ মার্তিনেজের দখলে। তিনি ১৯২২ সালের ২ এপ্রিল রিয়াল গিজনের বিপক্ষে ১৫ বছর ১১ মাস ৫ দিন বয়সে মাঠে নেমেছিলেন।
গত পরশু রাতে লামিন মাঠে ছিলেন ১০ মিনিট। পুরো সময়টাকেই অভিষেকের রঙে নিজের সবটা দিয়ে রাঙানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তার পা বলে লেগেছে ১২ বার। তবে অল্প সময়ে মাঠে থাকলেও এই সময়টুকু নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে কোচকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। আর তাই ম্যাচ শেষে তাকে নিয়ে কথা বলেছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
জাভি বলেন, ‘নামার সময় আমি তাকে বলেছি, কিছু করার চেষ্টা করো। সেটাই সে করেছে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে, ভেবে দেখুন…। সে বিশেষ একজন। আজকের প্রথম ম্যাচে সে গোলও করতে পারত। কিন্তু সেভ হয়ে গেছে। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছে। দেখিয়েছে সে কেমন। কোনো ভয় নেই। প্রতিভা আছে। আক্রমণভাগে ওর কিছু পাস খুবই ভালো ছিল।
বার্সেলোনার একাডেমি লা মেসিয়ায় বেড়ে ওঠা ইয়ামালের জন্ম স্পেনে। বাবা মরোক্কান বংশোদ্ভূত, মা গিনির। খেলেন মূলত ফরোয়ার্ড পজিশনে। সেন্টার ফরোয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা উইঙ্গার হিসেবেও তাকে দেখা যায়। বাঁ পায়ের খেলোয়াড় হিসেবে ডান দিকেই খেলেন। নিজের ড্রিবলিং, পাসিং আর গোল করার দক্ষতার কারণে অল্প বয়সেই বার্সেলোনা কোচদের দৃষ্টি কাড়েন লামিন। ১৪ বছর বয়সে ডাক পেয়ে যান স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলেও। ২০২২ সালের মধ্যে স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও খেলানো হয়েছে তাকে।