মেয়েদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। বৃষ্টি তাদের কাছে আশির্বাদ হিসেবে ধরা দিয়েছিল। কারণ এই বৃষ্টির জন্যই টার্গেট ছিল খুবই কম, কিন্তু ব্যাট হাতে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের মেয়েদের।
বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রান। কিন্তু তাও করতে পারলো না তারা। ফলে পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাঘিনীদের।
বৃষ্টির আগে ১৮.১ ওভারে শ্রীলঙ্কা করে ৮৩ রান। এরপর বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ডিএলএস মেথডে তাই নতুন লক্ষ্য পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টি নামে ১০টা ১৮ মিনিটে। টানা ৩০ মিনিট ধরে চলে বর্ষণ। মাঠ প্রস্তুত করে আবার খেলা শুরুর সময় ঠিক হয় ১১টা ৫০ মিনিটে। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে যায় তখনই। শুরুতে ম্যাচের লাগাম নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
ফারিহা তৃষ্ণার জায়গায় এদিন একাদশে ফেরানো হয় অভিজ্ঞ জাহানারা আলমকে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিদানও দ্রুতই দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে চামারি আতাপাত্তুকে ভেতরে ঢোকানো বলে বোল্ড করে দেন জাহানারা।
হারশিতা সামারাবিক্রমা ও আনুশকা সঞ্জীবনী মিলে ইনিংস গড়ায় মন দেন। কিন্তু একের পর এক ডট বলের চাপ সরাতে পারেননি। ৮ম ওভারে আসে দ্বিতীয় উইকেট। হারশিতাকে কট বিহাইন্ডে ফেরান সানজিদা আক্তার মেঘলা। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশা জানাতে দেখা যায় হারশিতাকে। পরের ওভারেই রুমানা আহমেদের আচমকা নিচু হওয়া বলে আনুশকা ক্যাচ উঠিয়ে ফিরে যান।
ফাহিমা তুলে নেন হাসিনি পেরেরাকে। রুমানা আহমেদ ফেরান কাবিশা দিলহারিকে। তবে নিলাক্ষী ডি সিলভা টানছিলেন তার দলকে। এই ব্যাটার ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ২৮ রান করে।
এই ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূসর হয়ে গেলো সালমা খাতুন-নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ভারপ্রতি ছয় রানের লক্ষ্যে পুরো ইনিংসে একটিমাত্র বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছে তারা।
দলের পক্ষে ১১ বলে সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার ব্যাট থেকেই এসেছে একমাত্র বাউন্ডারি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তখনই মূলত পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ইনোকা রানাবিরা। এছাড়া ওশাদি রানাসিংহের শিকার এক উইকেট। রানআউট হয়েছেন বাকি দুইজন।