পাবনার সাঁথিয়ার ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে চারদিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এ খবর পেয়ে শুক্রবার সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ও সিমেন্টের সব খুঁটি অপসারণ করে দেন। উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের পোরাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা তানজিলকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলার পোরাট গ্রামের আশরাফুল ওলুম হাফিজিয়া মাদরাসার রাস্তার জায়গা দেয়া ও গ্রাম্য সমাজে তাদের সাথে না থাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল ঠান্টু, রফিকুল, খলিল প্রমুখ গত চারদিন ধরে শাজাহান, শফিকুল ও নজরুলসহ কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ কয়দিন ওই পরিবারের শিক্ষার্থীরাসহ লোকজন কাঁটাতারের ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা করতে শিশুসহ কয়েকজনের হাত, পা কেটে গেছে। হাটবাজারে যাওয়া আসা বন্ধ হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছিল তারা। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে অবরুদ্ধদেরকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়া খুঁটি অপসারণ করে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিলসহ অন্যান্যদেরকে ধরতে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ দিলে মামলা নিবেন বলে জানান তিনি।
ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল বলেন, এসব বিষয়ে আমি জানি না। এটা সমাজের মানুষ জানেন। আপনারা জেনে দেখেন সমাজের ৭৮ জনের মধ্যে তারা আলাদা। সে সমাজে থাকবে না ভাল কথা। তবে সে ওই মাদরাসার যাতায়াতের রাস্তায় কোন জায়গা দেয় নাই। তাহলে রাস্তা দিয়ে সে বের হবে কেন ? এটা সমাজের লোকজনের কথা।
ভুক্তভোগী শাজাহান জানান, আমি এখানে জায়গা কিনেছি ১৪ শতক। আমি রাস্তার জন্য দুই ফুট জায়গা ছেড়ে দিছি। রাস্তার সাথে আমার অনেক গাছগাছালি ছিল। সেগুলো কেটে দিয়ে রাস্তায় জায়গা দিয়েছি। অথচ তারা জোর করেই বলে আমরা জায়গা দেইনি। মূল কথা হলো, আমরা কয়েকঘর তাদের সমাজে থাকবো না এ জন্য তারা আমাদেরকে ঘরে করে রাখতে চায়।
অপর ভুক্তভো্গী শফিকুল বলেন,আজ চারদিন ধরে আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম। আজ পুলিশ এসে কাঁটাতারের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন আমরা যাতায়াত করতে পারবো। তবে পুলিশ যাওয়ার পর পরই তারা আমাদের উপর আবারও হামলা করে। পরে আবার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে।