মনসুর আলম খোকন
সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে আবারো মারামারি, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক এক চেয়ারম্যান ও নারী-পুরুষসহ ২০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও পাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে গত তিনদিন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃংখলা রক্ষার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ ডিসম্বর) সকালে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব প্রামাণিক সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক চোয়ারম্যান হারুন অর রশিদের লোকজন তাকে বাজারের পাশে বেদম মারধর করে। এ খবর জানাজানি হলে চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের লোকজন ঘটনান্থলে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জাওয়াদ, রাজিব, শহিদুল, হাসান, সিফাত, বিপ্লব, নুর আলী, আলতাব মোল্লা, হাসন, শামসুল, সাফিয়া, সাদিয়া, রজাউল, আদু রি, মান্নান, সাত্তার, তাসলিমা, ইরানী, হালিমা খাতুনসহ ২০জন নারী-পুরুষ আহত হন।
নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেব বলেন, আমি সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, তার ছাট ভাই জুয়লসহ তার সমর্থকরা আমাকে হাতুড়ি, লাঠিশোটা দিয়ে মারপিট করে জখম করে। নাগডমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মঙ্গলবার আমার মামা সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবু তালেব প্রামাণিক সোনাতলা বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাব তাকে মারধর করে এবং আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধর করে।
তবে হারুন অর রশিদ সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেবকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হাফিজ চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চোয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেদ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যান আবু তালেবকে মারধর করায় এলাকায় আবারো দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।