গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্দ জনতা আ’লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, আ’লীগ কার্যালয়,দোকানপাট,খামারে ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করে। তারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধ সংসদ,পৌরসভা,পুলিশ স্টেশন,বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক টুকু কলেজেও হামলা,ভাংচুর,লুটপাট চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সাঁথিয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট দুষ্কৃতকারীদের হামলনায় সাঁথিয়া পৌরসভার নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (IUGIP)কর্তৃক প্রেরিত চারটি কম্পিউটার (All in one)এর মধ্যে তিনটি কম্পিউটার (PC),দুইটি UPS, একটি কালার প্রিন্টার লুটপাট হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার মেয়রের রুমসহ সকল রুমের জানালা ভাঙচুরসহ একটি কম্পিউটারের মনিটর (হিসাব শাখার) ভাঙচুর করা হয়েছে এবং একটি ল্যাপটপ লুট হয়েছে। IUGIP প্রকল্প কর্তৃক প্রেরিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক টুকু কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বপালনকারী আব্দুদ দাইন জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট তান্ডবে ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মূল ট্রান্সক্রিপ্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র, কলেজের ক্যাশবই, ব্যাংকের চেকবই, ফিক্সট ডিপোজিট সনদ,সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রদানকৃত পাঁচজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির কাগজপত্র,কলেজের জমির দলিল ও খাজনা খারিজের কাগজ, ব্যানবেইজ ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত ও বিভিন্ন অফিসে প্রেরিত সকল কাগজপত্র,কম্পিউটার সেট, প্রিন্টার, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, ফ্যান, আইপিএস, স্টিলের আলমারি,র্যাক ভাংচুর করে পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা বারবার তাদের কাগজপত্র ও লেখাপড়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ফোন করছে ৷