নিজ জন্মভূমি সাতক্ষীরার মাটিতে পা রেখেছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। শুক্রবার ভোরে সাবিনা তার সাতক্ষীরা শহরের সবুজবাগস্থ বাড়িতে পৌঁছায়। সকাল সাড়ে ১০ টায় সাবিনাকে একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজে নিয়ে আসেন । এ সময় দর্শকরা হাত নেড়ে সাবিনাকে অভিনন্দন জানান।
সাবিনাকে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জাননো হয়। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপনসহ ক্রীড়া সংগঠকরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাবিনা খাতুন গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন।
সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা বলেন, ‘সাতক্ষীরাবাসী আমাকে যেভাবে সম্মান দেখিয়েছে দেখিয়েছে তাতে আমি আপ্লুত। খুশি রাখবার জায়গা নেই আমার। ফুটবল নিয়ে ১২টি বছর মাঠে সংগ্রাম করেছি। আজ আমি আমার লক্ষ্যে পৌছে গেছি। এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আগামীতে এই সফলতা ধরে রাখতে হবে। আমি সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
সাবিনা আরও বলেন, জয়ী হওয়ার পর প্রথম বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখ আমার সামনে ভেসে আসে, তাদের কথা আমার মনে পড়ে। তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে আমরা ধন্য। বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছি। দেশবাসীর কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই। আগামীতে আমরা যেন আরো ভালো করতে পারি। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে পারি।’
এসময় সাতক্ষীরায় খেলোয়ারদের জন্য একটি উন্নতমানের স্টেডিয়াম দাবি করেন সাবিনা। যেখানে নারী খেলোয়ারদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সাবিনা খাতুনকে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ছাদখোলা গাড়িতে করে ফুলের মালা পরিয়ে পুরো সাতক্ষীরা শহর ঘুরানো হয়। এসময় তার হাতে বিজয়ী ট্রফি ও গোল্ডেন বুট ছিল। পথচারিরা তাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়। বেলা সাড়ে ১২ টায় তাকে সাতক্ষীরা জজ কোর্ট এলাকায় তার বাড়ির সংযোগ সড়কে পৌছে দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন বলেন, সাবিনা ভোরে সাতক্ষীরা পৌছায়। সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস থেকে বেলা সাড়ে ১০ টায় যাত্রা শুরু করে নিউমার্কেট, তুফান কোম্পানির মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হয়ে সাবিনাকে সাতক্ষীরা জজ কোর্ট এলাকায় নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। জজকোর্টের পিছনে তার বাড়ি।
তিনি বলেন, সাবিনার আগমনকে কেন্দ্র করে আমরা প্রাথমিকভাবে আয়োজন করেছি। সাতক্ষীরার অপর সাফজয়ী মাসুরা পারভিন এখনো সাতক্ষীরায় আসেননি। মাসুরা আসার পর আরও বড় পরিসরে সাবিনা ও মাসুরাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।