আজ আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে টাইগাররা। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের তুলনামূলক কম শক্তিশালী দল আয়ারল্যান্ড। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আজকের ম্যাচ ছাড়া লাল বলের ফরম্যাটে আইরিশরা এর আগে খেলেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। তবে আইরিশদের খাটো করে দেখছে না সাকিব-তামিমরা। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাপট দেখানোর পর এবার টেস্টেও ভালো করতে চায় স্বাগতিকেরা। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টের আগে অনুশীলন শেষে এমনটাই জানিয়েছেন দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেস্ট ক্রিকেট শান্ত মেজাজে ধীরে-সুস্থে খেলার ফরম্যাট হলেও বর্তমানে সেখানেও ইংল্যান্ডের কল্যাণে ঢুকে গেছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে খেলার রীতি। আর তাদের দেখানো সেই পথই যেন এবার অনুসরণ করতে যাচ্ছে টাইগাররা। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের পক্ষ থেকে আসেন মিরাজ। এ সময় আইরিশদের বিপক্ষে চড়া মেজাজেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে টাইগররা উল্লেখ করে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘দেখুন, আধুনিক ক্রিকেটে কিন্তু সব ফরম্যাটেই আক্রমণাত্মক খেলা হচ্ছে। আপনি দেখেন, টেস্ট ক্রিকেটেও কিন্তু আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলছে, বিশ্ব ক্রিকেটে যা চলছে। অবশ্যই আমরাও চেষ্টা করব, যেহেতু সাদা বল থেকে লাল বলে খেলা। অবশ্যই ছোট ছোট যে টেকনিক আছে, তা তো পরিবর্তন করবেই, মানসিকতা একই থাকতে হবে। দিন শেষে রান করাটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সাদা বল আর লাল বল ব্যাপার না। ব্যাপার হলো আপনি রান করছেন কি না। একটা খেলোয়াড় রান করছে কি না, ১০০ করছে কি না, দেড় শ করছে কি না, উইকেট পাচ্ছে কি না। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা জিনিস, হ্যাঁ অবশ্যই। খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়া আমাদের ক্রিকেটারদের কাজ। আমরা ওয়ানডে খেলি, টি-টোয়েন্টি খেলি। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টেস্ট খেলতে হয়। তো এক-দুই দিনের মধ্যে আমরা খুব তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারি।’ এ সময় এই অলরাউন্ডারের কাছে প্রশ্ন করা হয় ছোট দলের সঙ্গে তাদের মানসিকতা নিয়ে। জবাবে মিরাজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক খেলা তো আন্তর্জাতিক খেলাই। এক নম্বর দলের সঙ্গে খেললে একই রকম অনুভূতি কাজ করে, ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে খেললেও একই রকম অনুভূতি কাজ করে আমাদের। যেটা আপনি বললেন, ওটা হচ্ছে আউটকাম কী হবে-না হবে তা পরের বিষয়। আগের কাজটা তো আমাদের করতে হবে। আমরা ওটা নিয়ে কখনো চিন্তিত না—হারলে কী হবে বা না হবে। আমরা চেষ্টা করি সব সময় বর্তমানে থাকার জন্য। এখন কী হচ্ছে, কী করব—এটার ভেতরেই চেষ্টা করি থাকার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সবাই অনেক সিরিয়াস। ম্যাচ যখন খেলে আপনি কিন্তু দেখবেন না ভারতের সঙ্গে খেললে অনেক সিরিয়াস থাকে, আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেললে ফোকাস কম থাকে—এরকম কিন্তু না। আপনার ফোকাস একই রকম থাকে। হয়তো আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি কাজ করে অনেক সময়, অনেক সময় কম কাজ করে। প্রতিটা মানুষের আত্মবিশ্বাস কিন্তু ওঠানামা করে। এটা প্রতিটা মানুষের মানসিক ব্যাপার। সব সময় একই রকম বিশ্বাস থাকে না।
এদিকে টেস্ট ফরম্যাটে টাইগারদের তুলনায় আইরিশরা ছোট দল। তবে তাদের খাটো করে দেখছেন না সাকিব-মিরাজরা। এই প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘ছোট ছোট দলের সঙ্গে খেলতে গেলে কিছু কিছু জিনিস। আমার কাছে মনে হয় বড় দলের সঙ্গের চেয়ে ছোট দলের সঙ্গে বেশি ফোকাস থাকে। ফোকাসটা বেশি থাকে এ জন্য। আমাদের ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে হারজিত তো থাকেই, দিন শেষে ভালো করার যে উদ্যোগ, এটা কিন্তু করতে হবে। রেকর্ড কিন্তু আপনি দেখে ভারতের সঙ্গে রেকর্ড করলে ১০০ রেকর্ড থাকবে, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে করলেও ১০০ই থাকবে। খাতায় কিন্তু বদলাবে না। ওমুক টিম—এরকম বলা হবে না। দিন শেষে এটাই আমরা।