সাফ শিরোপা জয়ী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের আট ফুটবলকন্যার পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার করে মোট ৪ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা জান্নাত, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল ফজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা খাতুন, অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতান, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, মেয়েদের কোচ জুয়েল মিয়া ও স্কুলের শিক্ষকরা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন জানান, নারী ফুটবলারদের সাফল্যে সারা দেশ উচ্ছ্বসিত, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে শিরোপা জয়ী মেয়েদের বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে বসে আছেন ফুটবলপ্রেমী এলাকাবাসী। উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং মেয়েদের স্কুলসহ এলাকাবাসী সংবর্ধনা দিবে তাদের।
গত সোমবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে নেয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফের শিরোপা জয় করে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরে সাবিনা খাতুনরা। তবে কবে বাড়িতে ফিরবে তা এখনও জানা যায়নি।
আনন্দে আত্মহারা হয়ে নানান রকমের রান্না তৈরী করার কথা ভাবছেন সানজিদা ও মারিয়ার মায়েরা। মারিয়া মান্দার মা এনতা মান্দা বলেন, চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমার মেয়ে গ্রামে আসছে শুনে অনেক আনন্দ লাগছে, ওকে ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াতে হবে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়া বাংলাদেশ দলের আট ফুটবলারের বাড়ি ধোবাউড়া উপজেলার অঝোপাড়া কলসিন্দুর গ্রামে। তারা হলেন-সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, মার্জিয়া আক্তার, শামছুন্নাহার সিনিয়র, তহুরা আক্তার, সাজেদা আক্তার ও শামছুন্নাহার জুনিয়র।