যুদ্ধ জল্লাদ এবং সপ্রাণ পাথর
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং অননুপ্রাণিত।
আমার বোধশক্তি আমাকে বিবেকের সঙ্গে যুদ্ধ-প্রাণিত করলেও
মানুষের সত্যিকার মেরুদণ্ড বেয়ে যে কালশোণিত বহমান-
তার আসল মুখমণ্ডলে কি কখনো ফুটে উঠবে?
নীতি ও দুর্নীতির বিবেক-তাড়িত প্রেরণায়,
এই নীরব ও নিষ্ঠুর ভাবলেশহীনতা,
জোড়াতালি দিয়েও কখনো অনপনেয় ভাববে না
কালো মুখোশ পরিহিত যুদ্ধ জল্লাদদের!
আর দু’হাত পিঠমোড়া করে বাঁধা
রক্ত ও জলের জমাটে জটাবদ্ধ
চূর্ণ খুলির অন্ধ চোখগুলির কাতর জিজ্ঞাসা…!
এতদিন কি পেলে স্মৃতির কালসিটে দাগ মুছে যেতো?
নিগ্রহের সড়ক ধরে চলতে থাকা কনভয়গুলির গহ্বরে
স্বাধীনতা যোদ্ধাদের দেহ দাহ করেও, যে অন্তর্ধান ঘটেছিল,
দূর থেকে এখনো সঠিক লক্ষ্যে লক্ষভেদ করে যারা,
তাদের প্রাণের পরে পাথরের সপ্রাণ আঘাত দিয়ে
দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক-
শক্ত শঠিত প্রাণপুঞ্জ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ যেন,
সু-নির্দিষ্ট এবং সার্বভৌম বিধান অনুসরণ করে কার্যকর হয়।
হতোদ্যম কায়া
এ কেমন বটবৃক্ষের ছায়ার মত বাংলাদেশ!
আমি এখানে রাবিন্দ্রীক শান্তি চাইনি খুঁজতে
মোটে।
আমাদের এ অঞ্চলতো এক সময় বর্গীরাও লুটতরাজ করেছে।
বলে যে কেমন কথা;
বলবো বলে তোমাদের অষ্ট প্রহর।
কালাসনিকভ রাইফেল কাঁধে তো কাব্য কথা হয় না।
রসিকতা!
সেতো এক মহার্ঘ বস্তু।
তোমাদের চিত্রিত চাদরের গায়ে ফুটে উঠে
কপোত কপোতী সম মনলোভা কুহেলি কুজন করে।
হে আমার অফুরন্ত আত্মা!
হে আমার নিবেদিত ধরনের প্রেম ও প্রণয়।
আমি ছলনা দ্বারা উপস্থাপিত হতে চেয়েছি বলে
দেখো কি সারি সারি মৃত দেহের হতোদ্যম কায়া
কর্ণফুলি নদী দিয়ে ভেসে এসেছে।
আর সংঘং স্মরণাম গচ্ছামী বলে
বর্মী কাপালিক শ্রমন গণও
রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে কারো চেয়ে কম যান না বটে।