করোনার সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। রাজধানীর ২১ কেন্দ্রসহ সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ডে আগামী ১৪ দিন এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা এ কর্মসূচি পালিত হবে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃক শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে আগামীকাল ২৫ আগস্ট ২০২২ থেকে দেশের সকল ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
পরবর্তীতে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে উক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ব্যাপী ১২টি সিটি করপোরেশন ৫৫টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ড এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিদিন ১৮৬০ টি টিকাদান টিম কাজ করবে। ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
টিকার ধরণ-
১. শিশুদের উপযোগী ফাইজার ভ্যাকসিন।
২. ডোজের সংখা- ২
৩. ডোজের পরিমান ০.২ এমএল
৪. ১ম ও ২য় ডোজের ব্যবধান- ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিন
টিকাদানের জন্য রেজিস্টেশন-
১. সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্টেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। যে সব শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকগণ জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য প্রদান করতে হবে।
কোভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন করে শিশুরা নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তীতে কমিউনিটি পর্যায়ে নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যেসব কেন্দ্রে দেওয়া হবেঃ
১. আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-১
২. উত্তরা গার্লস হাই স্কুল, জোন-১
৩. পল্লবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-২
৪. সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-২
৫. আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার বিদ্যালয়, জোন-৩
৬. মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৩
৭. হাজি ইউসুফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৪
৮. কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৪
৯. বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৫
১০. বটমলি হোম বালিকা বিদ্যালয়, জোন-৫
১১.কুর্মিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৬
১২. দক্ষিণখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৭
১৩. ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৮
১৪. ডুমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন-৯
১৫. সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোন ১০
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যেসব কেন্দ্র
১. নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-১
২. বঙ্গভবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-২
৩. খিলগাঁওঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-২
৪. আজিমপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-৩
৫. সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-৪
৬. করাতিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জোন-৫