লেখক ও সাহিত্যিক সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি মঞ্চে বক্তব্য দেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তাকে শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটিশনে রিটা ল্যান্ডম্যান নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, সালমান রুশদির শরীরে তিনি কয়েকটি ছুরিকাঘাত দেখেছেন। এর মধ্যে একটি আঘাত ছিল ঘাড়ের ডান দিকে। মঞ্চে তার শরীরের নিচে অনেক রক্ত জমে ছিল।
রিটা ল্যান্ডম্যান নামের এই চিকিৎসক বলেন, ‘লোকজন চিৎকার করে বলছিল, এখনো তার পালস পাওয়া যাচ্ছে, পালস পাওয়া যাচ্ছে।’
হামলাকারী এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তবে তার পরিচয় এবং কী কারণে এই হামলা চালিয়েছেন সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
সালমান রুশদী ১৯৮৮ সালে তার ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি প্রকাশের পর থেকে অব্যাহতভাবে মৃত্যু হুমকির মুখে আছেন। অনেক মুসলিম এই বইটিতে তাদের ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন। ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় ৯ বছর তাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল। এরপর বইটি অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার এক বছর পর ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি সালমান রুশদিকে হত্যার ডাক দেন এবং এজন্যে ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন। এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, তাতে ৫৯ জন মানুষ নিহত হয়।
সালমান রুশদী ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার একজন সরব প্রবক্তা।