প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ হতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে পারে না।’
শুক্রবার (২৩ জুন) দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আগে আজ (২২ জুন) সকালে তিনি গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্বের সময় এ কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যে সব দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান। যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি শাসনামলে উপ-নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি কারণ, তারা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ভোট লুট করেছিল।’
এ লক্ষ্যে তিনি তেজগাঁও, মিরপুর ও মাগুরার উপ-নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা জন্ম নিয়েছে এবং এটাই তাদের অভ্যাস।’
তবে তিনি বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডার একটি আদালতে যে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে, সেই বিএনপি এখন আওয়ামী লীগকে ভোট চোর বলছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভোট চুরির দরকার নেই কারণ, এটি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে জনগণের ভোট পায় এবং এভাবে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তাঁর দল যখনই পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে, ষড়যন্ত্রের কারণেই হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ যখনই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনও হয়েছিল।’
‘বিপরীতে, জনগণ কখনই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে ভোট দেয় না কারণ, তাদের জনগণের সেবা এবং উন্নতির জন্য কাজ করার কোন আগ্রহই নেই বরং বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ব্যস্ত ছিল।’ তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত যে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে কেউ ভোট দেয়নি। তাই, তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বরং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।’
সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।