উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাবি মেনে একনাথ সিন্ধেসহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা সচিবালয় সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার ওই বিধায়কদের একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিশে আগামী সোমবারের মধ্যে ১৬ বিধায়ককে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেবের নামে পৃথক একটি দল বিধানসভায় স্বীকৃতির দাবি জানাতে চলেছেন ৩৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। খবর এনডিটিভির।
ভার্চুয়াল বৈঠক করার কথা থাকলেও উদ্ধব শনিবার বিকেলে শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে হঠাৎই সশরীরে হাজির হন। তাঁর উপস্থিতিতে বৈঠকে পাস হয় ছয় দফা প্রস্তাব। ‘বিশ্বাসঘাতক নেতাদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্ধবকে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছে জাতীয় কর্মসমিতি। অন্যদিকে সিন্ধে গৌহাটির হোটেলে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরই মধ্যে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে একনাথের ছেলে তথা শিবসেনা সংসদ সদস্য শ্রীকান্ত সিন্ধের দপ্তরে উদ্ধব অনুগামী শিবসৈনিকেরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিজেপি ঘনিষ্ঠ নির্দলীয় সংসদ সদস্য নবনীত রানা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতির অভিযোগ তুলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন।
এদিকে মহারাষ্ট্রে বিদ্রোহের কারণ হিসেবে গত আড়াই বছরে শিবসেনার নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের নেতৃত্বে থাকা একনাথ সিন্ধের দাবি, শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪২ জনের সমর্থন আছে তাঁর দিকে। মাত্র একজনের সমর্থন পেলেই সরকার গঠনের মতো অবস্থায় যাবেন তাঁরা। বিজেপির ১০৫ বিধায়ক ও শিন্ডের ৪২ হলে সরকার গঠন সম্ভব।
মহারাষ্ট্র রাজ্যে ক্ষমতায় আছে হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে। তিনি এবং তার ভাই আদিত্য ঠাকরে হচ্ছেন এই দলের বর্তমান দুই প্রধান নেতা। তিন নম্বর প্রভাবশালী নেতা হচ্ছেন একনাথ সিন্ধে, যাঁর দলের মধ্যে একটি নিজস্ব উপদল রয়েছে।
এখন একনাথ সিন্ধের অভিযোগ, উদ্ধব ঠাকরে শিবসেনাকে হিন্দুত্বের চিরাচরিত পথ থেকে সরিয়ে এনেছেন এবং দলকে আবার হিন্দুত্বের পথে ফেরাতে তাঁরা ঠাকরে পরিবারের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছেন।