এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ফরেন অ্যাডভাইজর ড. সাজ্জাদ হায়দার, হেড অব পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআর) এবং সিলেটে ত্রাণ বিতরণ কমিটির শেখ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিআর শাখা কর্মকর্তা মেজর জুবায়ের আহমেদ সরকার, স্কোয়াড্রন লিডার গোলাম মোস্তফা, লে. আব্দুল মান্নান, এমডি সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, আপনারা জানেন এতোদিন সুরমার পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল, এখন কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণসামগ্রী, শুকনো খাবার ও নগদ টাকাও বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে অনেকে খাবার ও ত্রাণ দিচ্ছেন। এবার দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ যে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে তা আমরা গ্রহণ করেছি এবং এগুলো যথাযথভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের ফরেন অ্যাডভাইজার ড. সাজ্জাদ হায়দার জেলা প্রশাসনকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দেশের মানুষের আপৎকালীন সময়ে যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারও তা অব্যাহত রেখেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় পাশে আছে এবং থাকবে।
এর আগে সিলেটে বন্যার্তদের জন্য দুই দফায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এদিকে, বেলা আড়াইটায় জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম দারুল হাদিস কানাইঘাট মাদ্রাসা মাঠে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বন্যা দুর্গতদের মধ্যে আড়াই হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের গাংনীতে সকাল থেকেই মাদ্রাসা মাঠে ভিড় করেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। সেনাবাহিনী সুশৃংখলভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আয়োজন করে।
এ সময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর আহমাদুর রহমান ও ক্যাপ্টেন শরীফ আহমেদসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।