মহানগরের বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিনহাজ উদ্দিন আকন্দ (২৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
মিনহাজ সিলেট মহানগরের চৌহাট্টা এলাকার আলাউদ্দিন আকন্দের ছেলে। তিনি বিরতি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর দরগাহ মাজার প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে দরগাহ কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিনহাজ উদ্দিনের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম মুহিন (৪৭) নামে বিরতি ফিলিং স্টেশনের শিফট ম্যানেজার মারা যান। তিনি মহানগরের পশ্চিম পীরমহল্লা ঐক্যতান ২১৫/৩-এর বাসিন্দা।
মুহিনের মৃত্যুর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত সবারই শরীরের ৩৫-৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছিলো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে আহত তিনজন এখনও চিকিৎসাধীন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই কক্ষে আগুন লেগে নয়জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে সাতজন ওই ফিলিং স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দুজন পথচারী ছিলেন। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ নয়জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। দগ্ধদের শরীরে ১৫-৪০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছিল।
ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। তবে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পর পর পাঁচজনের মৃত্যু হলেও এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।