সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় হেফাজতের ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। একইসাথে বন্যা কবলিত স্থানীয় অনেক আলেম-ওলামাকে আর্থিক সহায়তা করে হেফাজত।
ত্রাণ বিতরণের সময় হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা এর আগেও হেফাজতের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণে এসেছিলাম। এবারো আপনাদের দুর্যোগে পাশে দাঁড়াতে আমরা এসেছি। হেফাজত ঈমান আকিদার সংগঠন হলেও মানবিক দুর্যোগে বরাবরের মতো জনগণের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে আমরাও সমব্যথী। আমরা বুঝতে পারছি কী কষ্টের মধ্যে আপনারা দিন পার করছেন। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন দ্রুত আপনাদের এই মসিবত থেকে উদ্ধার করেন।
হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শে বলিয়ান হয়ে আকাবীরদের দেখানো পথ অনুসরণ করে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বন্যা কবলিত দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। ইসলাম আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে। আমাদের আকাবীরগণ আমাদের এই পথ দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি তিনি আপনাদের এই মসিবত থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে দিক। আপনারা আমাদের মরহুম মুরব্বিদের জন্য, বিশেষ করে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ:, শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ:, আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী রহ:, আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী রহ:-এর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করবেন।
ঢাকা মহানগর হেফাজতে সেক্রেটারি মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী বলেন, হেফাজত শাইখুল ইসলাম আল্লামা শফী রহ:, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ:-এর আদর্শের ওপর অবিচল থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে অতীতের মতো আগামীতেও কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমিরে হেফাজত ও মহাসচিবের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসতে। আমরা এটাকে আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও যেকোনো দুর্যোগ-দুর্দিনে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। আগামীকাল হেফাজত মহাসচিব সুনামগঞ্জে বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করতে করতে যাবেন বলে সংগঠনটি জানায়।
সিলেটে ত্রাণ বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মহানগর কমিটির সদস্য মাওলানা রাশেদ বিন নূর প্রমুখ।