তার দেশের নাম বেলারুশ। জন্ম, বেড়ে ওঠা, টেনিস ক্যারিয়ারের শুরু-সবকিছুই দেশ বেলারুশের পরিচয়ে। কিন্তু নিজ দেশের পরিচয়ে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার খেলার উপায় ছিল না। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়া ও তাদের মিত্র দেশ বেলারুশকে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়েরা দেশের পরিচয়ে বিশ্ব ক্রীড়ায় অংশ নিতে পারছেন না। বেলারুশের মেয়ে আরিয়ানা সাবালেঙ্কারও তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার কথা ছিল না।
কিন্তু তিনি যে করেই হোক খেলতে চেয়েছিলেন। উপায়ও একটা বের করে ফেলেন। সিদ্ধান্ত নেন ‘নিরপেক্ষ’ পরিচয়ে খেলার। সেই সাবালেঙ্কাই ইতিহাসের প্রথম ‘নিরপেক্ষ’ খেলোয়াড় পরিচয়ে জিতলেন গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মেয়েদের এককের ফাইনালে কাজাখস্তানের ইলেনা রিবাকিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন সাবলেঙ্কা, গড়েছেন নতুন ইতিহাস। প্রথম সেট হেরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছেন ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে। শুধু ‘নিরপেক্ষা’ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম নয়, এটা ২৪ বছর বয়সী সাবালেঙ্কার ক্যারিয়ারেরও প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়।
শিরোপা জেতা দূরের কথা, এর আগে কখনো গ্র্যান্ড স্লামের এককের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনাল, তিন বার সেমিতে উঠেছিলেন তিনি। অবশ্য মেয়েদের দ্বৈতে ঠিকই দুটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতিয়েছিলেন। ২০২১ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরই দ্বৈতে শিরোপা জিতেছিলেন এলিসে মার্টেনসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। তার আগে ২০১৯ সালে এই মার্টেনসকে সঙ্গে নিয়েই জেতেন ইউএস ওপেনের দ্বৈতের শিরোপা। এবার পেয়ে গেলেন আজন্ম স্বপ্নের গ্র্যান্ড স্লামের এককের শিরোপাও। ক্যারিয়ারের প্রথম যে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপায় লেখা হলো ‘প্রথম নিরপেক্ষা খেলোয়াড়’ হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জেতার ইতিহাস।
মজার ব্যাপার আছে আরো একটি। যাকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেন সাবালেঙ্কা, সেই ইলেনা রিবাকিনা জন্মগতভাবে রাশিয়ান খেলোয়াড়। ফলে রাশিয়ান হিসেবে তারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার কথা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি খেলেন বাপ-দাদার দেশ কাজাখস্তানের পরিচয়ে। মানে এক অর্থে তিনিও নির্বাসিত খেলোয়াড়। দুই দুই নির্বাসিত ফাইনালিস্টের দ্বৈরথে জয় হয়েছে ‘নিরপেক্ষ’ সাবালেঙ্কার।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামিতে বসবাস করা বেলারুশের মেয়ে সাবালেঙ্কার আরো একটা চমৎকার গল্প আছে। তার টেনিসে আসার কথাই ছিল না। তার বাবা সের্গেই ছিলেন হকি খেলোয়াড়। ছোটবেলায় সাবালেঙ্কা কখনো ভাবেইনি টেনিস খেলোয়াড় হবেন। কিন্তু তিনি না ভাবলেও দ্বৈবক্রমে টেনিসই হয়ে যায় তার এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা। যে রাস্তার প্রেমে পড়াটা একটা ঘটনাক্রমে।
একদিন বাবার সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে অনেক দূরে চলে যান তারা। হঠাৎই রাস্তার দুই পাশে অনেক অনেক টেনিস কোর্ট দেখতে পান। গাড়ি থেকে নেমে বাবার হাত ধরে ঘুরেঘুরে টেনিস কোর্ট দেখেন। সেই দেখা থেকেই টেনিসের প্রেমে পড়ে যান সাবালেঙ্কা। শুরু করেন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার মিশন। সেই সাবালেঙ্কা এখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি।
তার দেশের নাম বেলারুশ। জন্ম, বেড়ে ওঠা, টেনিস ক্যারিয়ারের শুরু-সবকিছুই দেশ বেলারুশের পরিচয়ে। কিন্তু নিজ দেশের পরিচয়ে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার খেলার উপায় ছিল না। ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়া ও তাদের মিত্র দেশ বেলারুশকে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়েরা দেশের পরিচয়ে বিশ্ব ক্রীড়ায় অংশ নিতে পারছেন না। বেলারুশের মেয়ে আরিয়ানা সাবালেঙ্কারও তাই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার কথা ছিল না।
কিন্তু তিনি যে করেই হোক খেলতে চেয়েছিলেন। উপায়ও একটা বের করে ফেলেন। সিদ্ধান্ত নেন ‘নিরপেক্ষ’ পরিচয়ে খেলার। সেই সাবালেঙ্কাই ইতিহাসের প্রথম ‘নিরপেক্ষ’ খেলোয়াড় পরিচয়ে জিতলেন গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মেয়েদের এককের ফাইনালে কাজাখস্তানের ইলেনা রিবাকিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন সাবলেঙ্কা, গড়েছেন নতুন ইতিহাস। প্রথম সেট হেরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছেন ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে। শুধু ‘নিরপেক্ষা’ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম নয়, এটা ২৪ বছর বয়সী সাবালেঙ্কার ক্যারিয়ারেরও প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়।
শিরোপা জেতা দূরের কথা, এর আগে কখনো গ্র্যান্ড স্লামের এককের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনাল, তিন বার সেমিতে উঠেছিলেন তিনি। অবশ্য মেয়েদের দ্বৈতে ঠিকই দুটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতিয়েছিলেন। ২০২১ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরই দ্বৈতে শিরোপা জিতেছিলেন এলিসে মার্টেনসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। তার আগে ২০১৯ সালে এই মার্টেনসকে সঙ্গে নিয়েই জেতেন ইউএস ওপেনের দ্বৈতের শিরোপা। এবার পেয়ে গেলেন আজন্ম স্বপ্নের গ্র্যান্ড স্লামের এককের শিরোপাও। ক্যারিয়ারের প্রথম যে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপায় লেখা হলো ‘প্রথম নিরপেক্ষা খেলোয়াড়’ হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম জেতার ইতিহাস।
মজার ব্যাপার আছে আরো একটি। যাকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেন সাবালেঙ্কা, সেই ইলেনা রিবাকিনা জন্মগতভাবে রাশিয়ান খেলোয়াড়। ফলে রাশিয়ান হিসেবে তারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার কথা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি খেলেন বাপ-দাদার দেশ কাজাখস্তানের পরিচয়ে। মানে এক অর্থে তিনিও নির্বাসিত খেলোয়াড়। দুই দুই নির্বাসিত ফাইনালিস্টের দ্বৈরথে জয় হয়েছে ‘নিরপেক্ষ’ সাবালেঙ্কার।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামিতে বসবাস করা বেলারুশের মেয়ে সাবালেঙ্কার আরো একটা চমৎকার গল্প আছে। তার টেনিসে আসার কথাই ছিল না। তার বাবা সের্গেই ছিলেন হকি খেলোয়াড়। ছোটবেলায় সাবালেঙ্কা কখনো ভাবেইনি টেনিস খেলোয়াড় হবেন। কিন্তু তিনি না ভাবলেও দ্বৈবক্রমে টেনিসই হয়ে যায় তার এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা। যে রাস্তার প্রেমে পড়াটা একটা ঘটনাক্রমে।
একদিন বাবার সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে অনেক দূরে চলে যান তারা। হঠাৎই রাস্তার দুই পাশে অনেক অনেক টেনিস কোর্ট দেখতে পান। গাড়ি থেকে নেমে বাবার হাত ধরে ঘুরেঘুরে টেনিস কোর্ট দেখেন। সেই দেখা থেকেই টেনিসের প্রেমে পড়ে যান সাবালেঙ্কা। শুরু করেন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার মিশন। সেই সাবালেঙ্কা এখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি।