১/১১-এর ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই কারাবন্ধী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই সময় নেত্রীর (হাসিনা) গ্রেফতারের খবর পেয়েই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালিন দপ্তর সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
তাৎক্ষণিক এক বিশাল ‘বিক্ষোভ’ মিছিল বের হয় তার (রেজার) নেতৃত্বে। ওই মিছিলে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। তবে, ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের পড়তে হয় পুলিশের বাঁধার মুখে।
সে-সময় বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে তাদের (পুলিশ) গাড়িতে তোলা হয়। একপর্যায়ে তিনি পুলিশের ভ্যানেই জ্ঞান হারিয়েও ফেলেন। তবে, সে-দিনের পুলিশি নির্যাতনের কষ্ট এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন রেজাউল করিম রেজা। দেশে-বিদেশে নিজেকে চিকিৎসাও করিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।
শনিবার (১৬ জুলােই) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিকালে ১/১১-এর সময়ের দুর্বিসহ স্মৃতি চারণের সময় রেজাউল করিম রেজা এসব কথা জানান।
রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। আমরা মনে করেছিলাম ১/১১ সরকার হয় হয়তো তাদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু সেদিনের চিত্র ছিল পুরোটাই উল্টো। দেশজুড়ে হঠাৎ জরুরি অবস্থা জারি করে একের পর এক আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সাহসী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু করেছিল তৎকালীন তথা কথিত সরকার। নিজের প্রাণের ভয়ে সেদিন অনেকেই আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেন। তবে আমরা যারা দেশে ছিলাম, তাদের শুধু গ্রেফতারই করা হয়নি। থানার লকাবে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে।’
এসময় ১/১১-এর সময় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো সরকারের কর্তা-ব্যাক্তিদের কঠোর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়া করানোর দাবিও তিনি জানান।