আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী তো আমাদের আগের সব জাতীয় নির্বাচনেই মোতায়েন হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, সেটাই উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল) বলেছেন।’
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। সে সময় সেনাবাহিনীর (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ৩৮৯টি উপজেলায় ৪১৪ প্লাটুন, নৌবাহিনীর ১৮টি উপজেলায় ৪৮ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।
সশস্ত্র বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার আইনের অধীনে এর আগের দুই নির্বাচনে নামানো হয়েছিল। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীকে। তবে ২০০৯ সালে আইন সংশোধন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে আলাদা করা হয়।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর কাউকে আগের মামলায় গ্রেফতার করলে হস্তক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। এমন তথ্য জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা পুলিশের দায়িত্ব পালন করি না। বলতে পারব না মাঠে কী হয়েছে। আমরা যেটা দেখব, সেটা হলো ঐ সময় যেন রাজনৈতিক কোনো মামলা না হয়। অবশ্যই যদি দেখি আগে গ্রেফতার করা হয়নি, এখন তপসিল ঘোষণার পর করা হচ্ছে, সেটা আমরা বলব ফলাফলের পর করতে। তপসিল ঘোষণার পর আগের মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। যদি গ্রেফতার করতেই হয়, তপসিল ঘোষণার আগে করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তবে পরে যদি কেউ খুন করে ফেলে, কোন আইনে তাদের আটকাবেন?’
ভোটের পরিবেশ আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আমাদের তো দেখি সব ঠিকঠাক আছে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে চলমান সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণ গণনা করে আমরা যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধু তপসিল ঘোষণা বাকি আছে। সবাই নির্বাচন চাইছে। ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনের পক্ষে।’