আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বসেরা দলটির হাতে যে ট্রফি তুলে দেয়া হবে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে আবারও কাতারে ফিরেছে। আগামী ২০ নভেম্বর কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচের মধ্যে দিয়ে এই ট্রফির জন্য মাঠের লড়াইয়ে নামবে ৩২ দেশ।
কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছেস অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় আচরণ। কিছু কিছু পশ্চিমা দেশ প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিল, এরপর তার সঙ্গে যুক্ত হয় বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আরো কিছু দেশ। সব কিছুর বিবেচনায় ফিফা অবশ্য কিছুদিন আগে সব দেশকে পিছনে না তাকিয়ে শুধুমাত্র ফুটবলের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানায়।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের প্রিয় দলকে সমর্থন করতে ইতোমধ্যেই কাতারের মাটিতে সমর্থকদের সমাগমও শুরু হয়েছে।
বিশ্বাকপের প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই দোহায় পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পরে কাতারে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনে স্বাগতিক হওয়ার স্বত্ব লাভ করে কাতার।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইউরোপীয়ান ক্লাবগুলোর খেলায় বিরতি পড়ে গেছে গতকাল রাতে। বিশ্বকাপের আগে ক্লাবগুলো ঘরোয়া মৌসুমের সর্বশেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এরপরই খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা।
দোহায় এমএসসি ইউরোপা নামে নব নির্মিত বিশাল আকৃতির ক্রুজ শিপও চালু হয়েছে গতকাল রোববার থেকে। বিশ্বকাপের হাজারো সমর্থককে স্বাগত জানাতে জাহাজটি পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রায় ১০ হাজার সমর্থককে কাতারে নিয়ে আসার জন্য তিনটি জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে প্রথম দুই সপ্তাহের জন্য এমএসসি ইউরোপা পুরোপুরি বুকিং হয়ে গেছে।
বিশাল এই ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে দোহার রাস্তাগুলোতে ইতোমধ্যেই ব্যারিয়ার দেয়া হয়েছে, মেট্রো স্টেশন ও স্টেডিয়ামগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন ৩.১ মিলিয়ন টিকিটের মধ্যে ২.৯ মিলিয়ন টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। এখনো ফিফার টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে হাজারো সমর্থকদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্যুভেনির’র দোকানগুলোতেপ ভইড় করছে কাতার ভ্রমণকারী বিভন্ন দেশের ভক্ত-সমর্থকরা। তাদের মূল আগ্রহ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ও মাস্কট সংগ্রহের দিকে।