নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়া। প্রকৃতি যেন দুহাত ভরে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার এ শহরটিকে। আশির দশকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের হাতে গোড়াপত্তন এ শহরটির। পুত্রজায়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে ভিড় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
মালয়েশিয়ার নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রশাসনিক শহর পুত্রজায়া। স্বচ্ছ জল, সবুজ, শ্যামল, নীলাভ এখানকার প্রকৃতি। যানজটমুক্ত পরিকল্পিত ও সাজানো গোছানো একটি শহর। পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক ও শৈল্পিক-স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন এই পুত্রাজায়া।
আশির দশকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের হাতে এ শহরের গোড়াপত্তন। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার এ শহর মুগ্ধ করবে যে কাউকে। শহরটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে সপ্তাহিক ছুটির দিনে এখানে বেড়াতে আসেন স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। দীর্ঘদিন পর সবকিছু খুলে দিয়েছে। আমরা ঘরবন্দি জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছি। আরেক বাংলাদেশি বলেন, আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ করলাম। জায়গাটা অনেক সুন্দর। যারা বাংলাদেশ থেকে আসতে চায় তারা জায়গাটা ঘুরে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয়ের সঙ্গেই লেকবেষ্টিত দৃষ্টিনন্দিত ভাসমান মসজিদ দৃষ্টি কাড়ে পর্যটকদের। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের দেখা মেলে এখানে। প্রশাসনিক কার্যালয়ের ঠিক সামনের অংশের খোলা জায়গায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের পতাকা ওড়ানো হয়। বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে বেশকিছু লেক। এ ছাড়াও লন্ডনের টেমস নদীর ওপর অবস্থিত আইকনিক ব্রিজের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিজ যা মুগ্ধ করে এখানকার পর্যটকদের।
এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে নৌবিহারের ব্যবস্থা। যেটি পুত্রজায়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পর্যটকদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। পরিপাটি এ শহরটির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগে বছরজুড়েই ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের।