বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কলকাতায় মাঠে নামার আগে থেকেই চলছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সমালোচনা। শুনেছে দুয়োধ্বনিও। তবে সেদিকে নজর দেননি তিনি। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের পুরো ফোকাসই যেন বিশ্বকাপ ঘিরে। যা তিনি বুঝিয়েছেন ডাচদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে বল হাতে। ১০ ওভার বল করে তুলে নিয়েছেন একটি উইকেট, তাতেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে আরেকটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সাকিব।
গতকাল টস হেরে আগে বল হাতে নেমেই শুরু থেকে নেদারল্যান্ডসকে চেপে ধরে টাইগার পেসাররা। দলীয় ৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন ডাচ দুই ব্যাটার ওয়েসলি বারেসি ও কলিন অ্যাকারম্যান। তারা দুই জন গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটিও। তবে মুস্তাফিজ ও সাকিব পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ভাঙেন এ জুটি। প্রথমে ১৩.৪ ওভারের সময় ওয়েসলিকে ফেরান মুস্তাফিজ।
এর পরের ওভারেই উইকেটে থিতু হয়ে থাকা কলিন অ্যাকারম্যানকে ফেরান সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট-ফাইন লেগে মুস্তাফিজের তালুবন্দি হন অ্যাকারম্যান। আর এই উইকেট শিকারের মধ্য দিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে যান সাকিব।
টাইগার অধিনায়ক বর্তমানে বিশ্বকাপে ৪১টি উইকেটের মালিক। তারপর ৪০ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ-স্পিনার ইমরান তাহির। এই রেকর্ড গড়তে সাকিব ৩৪টি ইনিংস খেলেছেন। বিপরীতে প্রোটিয়া স্পিনার খেলেছেন ২১ ইনিংস। চলমান বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন উইকেট শিকারের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে পেছনে ফেলে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন সাকিব। এর চার ম্যাচ পরই আবার তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে এলেন তিনি। তবে এই তালিকার শীর্ষে থাকা শ্রীলঙ্কার মাস্টার স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। মুরালিধরন ৩৯ ইনিংসে নিয়েছেন ৬৮ উইকেট।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান
ব্যাট হাতে
ম্যাচ ৫
রান ৬১
সর্বোচ্চ ৪০
স্ট্রাইক রেট ৬২.৮৮
বল হাতে
ম্যাচ ৫
উইকেট ৭
বেস্ট ৩/৩০
ইকোনমি ৫.১৪