পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। ট্রেনে ঘরমুখী মানুষের স্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে গত দুই দিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ও বুধবার রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের বেশি ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। স্বাচ্ছন্দ্যেই বাড়ি ফিরতে পারছেন বলে জানিয়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা।
টিকিট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে এরপরও নির্দিষ্ট দিনের টিকিট পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে। অন্যদিকে, কেউ কেউ আবার স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েও সন্তুষ্ট। টিকিট পাওয়া ব্যক্তিদের একটাই কথা, বসে হোক কিংবা দাঁড়িয়ে, ঈদে বাড়িতে যেতে পারছেন এটাই অনেক।
বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, অনেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন, অনেকে আবার ব্যাগ-লাগেজসহ সঙ্গে নিয়ে আসা জিনিসপত্র নিয়ে ট্রেন ধরতে ব্যস্ত।
সফি রায়হান সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট কেটেছিলাম। ক্লাস-পরীক্ষা কোনো কিছুই নেই। টিকিট যেদিন চেয়েছিলাম সেদিনই পেয়েছি। ঈদে বাড়ি যাচ্ছি, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার মতো শান্তির অনুভূতি আর নেই।’
ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি পেয়েছি আগেই। অনলাইনে টিকিট পেয়েছিলাম, এখন বাড়ি যাচ্ছি। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করব।’
রফিক নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাসে গেলে জ্যামে পড়তে হয়, তাই ট্রেনের টিকিট কেটেছি। তবে কোনো সিট পাইনি; স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছি। তাতেই আমি খুশি, অন্তত জ্যাম থেকে তো রক্ষা পাবো।’
প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ছিলেন মনিরা আক্তার নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারছি, এটাই মূলত ভালো লাগা। তবে, ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে