দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দেশে সড়কপথে পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম প্রধান রুট ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ইমপোর্ট পারমিশন বা আইপি ইস্যু না করায় গত ৫ মের পর এ পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার (০৪ জুলাই) ৪০টি ট্রাকে ৯৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ৪২ ট্রাকে এক হাজার ২০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) কামাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় আমদানীকৃত সকল পেঁয়াজ ট্রাক-টু-ট্রাক আনলোড-লোডের পর সারা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। বন্দরের গোডাউনে কোনো পেঁয়াজ নেই।
বন্দরের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানিকারক (নুর এন্টারপ্রাইজ) নুরল ইসলাম বলেন, এবার চার মাসের জন্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পোঁয়াজ আমদানিতে পূর্বের ন্যায় ৫ শতাংশ সিডি (কাস্টমস ডিউটি) ও ৫ শতাংশ আরডি (রেগুলেটরি ডিউটি) অর্থাৎ ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের নাসিক, ইন্দোর, কানপুর, পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এসবের জাত, মান ও দাম ভিন্ন। বর্তমানে গড়ে প্রতি টন ২৩০ থেকে ২৬০ ডলারে খোলা এলসির মাল ঢুকছে। বন্ধের পূর্বে ১৯০ ডলার বা এর কম মূল্যের এলসির মাল প্রবেশ করেছে।
এদিকে বন্দর কাস্টমস ইন্সপেক্টর (রাজস্ব কর্মকর্তা) প্রশান্ত কুমার বিশ্বশর্মা বলেন, বন্দর কাস্টমস পেঁয়াজের অ্যাসেসমেন্ট করছে ৩১৫ ডলার প্রতি টন হিসেবে। তাতে এলসি ভ্যালু যা-ই হোক না কেন। কারণ এলসি মূল্য বিষয়টি আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিজস্ব খরচ হিসাব করে নির্ধারিত হয়। কোনো আমদানিকারক কত দরে মাল কেনে তার ওপর ওই আমদানিকারকের এলসি মূল্য নির্ধারণ করে।
বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফিস সেক্রেটারি একরামুল হক বলেন, আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত থাকবে। সামনে আমদানি আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দর ও জেলার বাজারগুলোতে পেঁয়াজের মূল্য এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে।